লাইফস্টাইল Raw Banana for Children: সন্তানের পিছনে শুধু পাকা কলা নিয়েই ছুটবেন না, কাঁচা কলাও দিন, তবে রান্নায় নয়, এভাবে, জানুন পদ্ধতি Gallery October 30, 2024 Bangla Digital Desk পাকা কলা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। এ কথা তো সকলেরই জানা। আসলে পাকা কলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কাঁচকলাও কিন্তু শরীরের জন্য সমান ভাবে উপকারী। বিশেষ করে শিশুদের জন্য কাঁচকলা পুষ্টিকর এবং উপকারী। আর এই কাঁচকলা ব্যবহার করেই বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর এবং উপাদেয় খাবার বানানো সম্ভব। আসলে শিশুরা খেতে চায় না। তাদের খাওয়ানো একটা হ্যাপা। ফলে তাদের সুস্বাদু অথচ পুষ্টিকর খাবার দেওয়াটা অভিভাবকদের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আজকের এই প্রতিবেদন শিশুদের অভিভাবকদের মুশকিল আসান করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক, কাঁচকলা দিয়ে বাচ্চাদের খাবার তৈরির পদ্ধতি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিশুর খাবার তৈরি করার উপায়:সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ড. কুমারী Local 18-কে বলেন যে, প্রথমে কাঁচা কলা বা কাঁচকলা নিয়ে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর একটি ধারালো ছুরির সাহায্যে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর কাঁচকলাটিকে ৫ সেন্টিমিটার টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার কেটে নেওয়া কাঁচকলার টুকরোগুলো ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তবে এটি রোদে দিয়েও শুকিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে ড্রায়ার ব্যবহার এক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হবে। কলার টুকরোগুলিকে শুকিয়ে নেওয়ার পর মিক্সারে দিয়ে ভাল করে পিষে নিতে হবে, যাতে তা মিহি গুঁড়োয় পরিণত হয়। আর শিশুর খাবার তৈরি করতে এই ময়দা ব্যবহার করা যেতে পারে। সুষম খাদ্যের একটি চমৎকার উৎস: কাঁচকলার মিহি গুঁড়ো গরম জল অথবা দুধে মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া কাঁচকলার গুঁড়ো ময়দার মতো ব্যবহার করে পকোড়া, মালপোয়া এবং অন্যান্য খাবারও তৈরি করা যেতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, কাঁচকলা দিয়ে তৈরি শিশুর খাবার শুধু পুষ্টিকরই নয়, এটি সহজেই ঘরে তৈরি করা যায়। এমনকী এটি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্যের একটি চমৎকার উৎস। বিজ্ঞানী ড. কুমারী Local 18-কে আরও জানান যে, এই পদ্ধতি অবলম্বন করে শিশুদের খাবার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা সম্ভব। যা স্বাদে অতুলনীয় এবং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ! ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও উপযোগী। এটি শিশুদের খাবার তৈরির একটা অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি। তবে এক্ষেত্রে কাঁচকলা কেটে শুকানো এবং তা গুঁড়ো করতেই বেশ খানিকটা সময় চলে যায়। আর এই পদ্ধতি অবলম্বন করার সময় পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা আবশ্যক।