শিলিগুড়ি: আরও উন্নত হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। প্রস্তাবিত হয়েছে নয়া টার্মিনাল। এই টার্মিনাল তৈরি হয়ে গেলে, ব্যস্ত সময়ে প্রতি ঘণ্টায় বাগডোগরা থেকে ৩ হাজারের বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। পাশাপাশি বছরে গড়ে ২ কোটির বেশি যাত্রী অত্যাধুনিক এই বিমানবন্দরের পরিষেবা পাবেন। যা পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুঘটকের কাজ করবে।
কারণ, আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর চালু হলে স্থানীয় চা শিল্প, পর্যটন-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাড়তি জোয়ার আসবে। নয়া বিমানবন্দরের পাশাপাশি আশাপাশ এলাকায় বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। কলকাতা বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, বাগডোগরা বিমানবন্দরের প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী আগামীদিনে সেখানে এয়ারবাস ৩২১ নামতে পারবে।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীরাও ‘টেনশন ফ্রি’ হয়ে খান ভাত! রান্নাতেই বড় ভুল! ফোটানোর সময়…কমবে ওজনও
বিশ্বের সেরা সেরা বিমানবন্দরগুলিতে এই বিশেষ বিমান ওঠানামা করতে পারে। তার জন্য সেখানে ১০টি এয়ার ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আধুনিক বিমানের কেবল ওঠা-নামাই নয়, সেগুলিকে নির্দিষ্ট নিয়মে পার্কিং করার বাড়তি পরিকাঠামো থাকবে এই বিমানবন্দরে। একই সঙ্গে নতুন করে সেখানে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থা তৈরি হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার বাগডোগরার জন্য ইতিমধ্যেই ৩ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন করছে। কাজ শুরুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যের উত্তরে বিশ্বমানের বিমানবন্দর চালু হবে। উল্লেখ্য, নয়া প্রকল্পের জন্য ১০৪ একর জমির প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন: ডিপ ফ্রিজে জমে বরফের পাহাড়! বারবার কেন হয় এই সমস্যা? ৫ মিনিটে গলবে কীভাবে? জেনে নিন সহজ টোটকা
নবান্নের পূর্ণ সহযোগিতায় যার সিংহভাগ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে।
বর্তমানে মাত্র ১০ হাজার বর্গ মিটারের কম জায়গা জুড়ে বাগডোগরা বিমান বন্দরের টার্মিনাল রয়েছে। আগামীদিনে এই টার্মিনালের আয়তন বেড়ে হবে ৭০ হাজার ৪০০ বর্গ মিটার।