Tag Archives: Bagdogra Airport

West Bardhaman News: অপেক্ষার অবসান, যাত্রীদের জন্য বড় উপহার! আকাশ পথে ১ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন উত্তরবঙ্গ!

দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: অপেক্ষার অবসান। পুজোর মুখে বড়সড় উপহার পর্যটকদের জন্য। এবার আর ট্রেনের টিকিটের জন্য হাপিত্যেশ করতে হবে না। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হবে না বাসে। মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই পৌঁছে যেতে পারবেন উত্তরবঙ্গ। টিকিট না পেয়ে পাহাড় ঘোরার পরিকল্পনা আর ভেস্তে যাবে না। কারণ অন্ডালের সঙ্গে জুড়ে গেল বাগডোগরা বিমানবন্দর। নির্ধারিত সূচি মেনে অন্ডাল বাগডোগরা নতুন বিমান পরিষেবা শুরু হল।

অন্ডাল থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিষেবা শুরু হওয়ার দাবি অনেক দিন থেকেই ছিল যাত্রীদের মধ্যে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট না পাওয়ার কারণে এই দাবি ছিল যাত্রীদের। তারপরেই উড়ান চালু হওয়ার কথা জানা যায় অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর সূত্রে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছিল, একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার উদ্যোগে ৩০ আগস্ট থেকে অন্ডাল বাগডোগরা বিমান পরিষেবা চালু হবে। সেই মতো এ দিন শুক্রবার কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বিমান।

উত্তরপত্রে রাজনৈতিক স্লোগান নয়! উচ্চ মাধ্যমিকে কড়া ব্যবস্থা, জানুন বদল-বৃত্তান্ত

জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে চার দিন অন্ডাল বাগডোগরা বিমান পরিষেবা পাওয়া যাবে। সপ্তাহে সোমবার, বুধবার, শুক্রবার এবং রবিবার অন্ডাল বাগডোগরা মধ্যে বিমান চলাচল করবে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভাড়া পড়বে ৩৪৯৯ টাকা। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অন্ডাল থেকে বাগডোগরা বিমানটি ছাড়বে। বাগডোগরা পৌঁছবে ২:২০ মিনিটে। আবার ২:৫৫ মিনিটে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমানটি ছেড়ে অন্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দরে পৌঁছাবে বিকেল ৪:০৫ মিনিটে।

আরও পড়ুন- চরম অনাস্থা? ক্ষোভ? প্রকাশ্যে পুলিশকে বেধড়ক মার রাস্তার মোড়ে! ভাইরাল ভিডিও

নতুন বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। এই বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাশাপাশি সংলগ্ন জেলাগুলির মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। বিশেষ করে আসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের মানুষ খুব সহজেই এই বিমান পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটের চিন্তা অনেকটা কমবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, নতুন এই বিমান পরিষেবা যাত্রীদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। পর্যটনের মরশুমে যাত্রী সংখ্যা ভাল থাকবে বলেই আশা করছেন বিমানবন্দরের কর্তারা।

নয়ন ঘোষ

Extension of Bagdogra: বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণে ১৫৪৯ কোটি বরাদ্দ করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণে ১৫৪৯ কোটি বরাদ্দ করল কেন্দ্র। শুক্রবার ক্যাবিনেট বৈঠকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সিভিল এনক্লেভ তৈরির সিদ্ধান্তে শীলমোহর পড়ে। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, এই প্রকল্পে বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ১০টি পার্কিং-বে যুক্ত অ্যাপ্রন তৈরি করা হবে এ-৩২১ বিমান পার্কিংয়ের জন্য।

প্রসঙ্গত সরকারের তকফে জমি চিহ্নিত করার পরও বাংলার দ্বিতীয় আম্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ কেন থমকে রয়েছে, সে নিয়ে গত বাজেট সেশনেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই অ্যাভিয়েশন মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প নিয়ে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নির্মিত হবে ৭০ হাজার ৩৯০ স্কোয়ার মিটার ব্যপ্ত নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং। বিমানবন্দরের এই নতুন অংশে তিন হাজার যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকবে।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ”পর্যটন এবং বাণিজ্যিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বর্ধিত বিমান যোগাযোগ খুব ভাল খবর । মন্ত্রিসভা আজ পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা এবং বিহারের বিহতায় নয়া সিভিলিয়ান এনক্লেভ-এর অনুমোদন করেছে। এর ফলে এই গন্তব্যগুলিতে মানুষ নির্বিঘ্ন যেতে পারবে এবং সেখান থেকে আসতে পারবে।”

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বর্তমানে মূল বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনালের আয়তন ৮ হাজার স্কোয়ার মিটার। সেখানে ঘণ্টায় ৪০০-৫০০ যাত্রী ধারণ করা যায়। এর বাইরে কিছু সম্প্রসারণ করা হলেও সমস্যা খুব একটা মেটেনি। দিনের ব্যস্ততম সময়ে বিমানবন্দরের ভিতরে যাত্রীদের নাজেহাল অবস্থা হয়। নতুন টার্মিনালটি বর্তমান টার্মিনালের ৫০০ মিটার দক্ষিণে তৈরি হচ্ছে। সেখানে ১ লক্ষ বর্গমিটার টার্মিনাল হবে। তা ঘন্টায় ৩-৪ হাজার যাত্রী ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার বর্গমিটারের টার্মিনালটির কাজ হবে। এ ছাড়া ১০টি এরোব্রিজ (প্রথম পর্যায়ে ৬টি) তৈরি হচ্ছে। প্রায় ১০৪ একর জমি সরকার চা বাগান থেকে অধিগ্রহণ করার পর সেখানে নতুন টার্মিনালের পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে।

Bagdogra Airport: আর দাঁড়াতে হবে না লম্বা লাইনে! বাগডোগরা বিমানবন্দরে এবার অ্যাপেই হয়ে ‌যাবে সমাধান

অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি: বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য এখন থেকে আপনার মুখই যথেষ্ট ৷ দিতে হবে না আপনাকে কোনও পরিচয় পত্র। এমনকী, আপনাকে পরীক্ষা করাতে হবে না আপনার বোর্ডিং পাসও। বহরে বাড়ছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। বেড়েছে উড়ানের সংখ্যাও। এখন দিনে ৩৩ জোড়া উড়ান চলাচল করে বায়ুসেনার অধীন বিমানবন্দরটিতে। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীর চাপও বাড়ছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বিমানবন্দরে প্রবেশের পথে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। এবার সেই সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে বলে দাবি। কারণ এই বন্দরটিকে ডিজিটালি অ্যাডভান্স এয়ারপোর্টে রূপান্তরিত করার প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।

আরও পড়ুন– কুড়ি বছর ধরে ছিল না কোনও খোঁজ, আশা ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারও; অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতেই উৎসবে মেতে উঠল গোটা গ্রাম

বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তৈরি ডিজি যাত্রা অ্যাপের (Digi Yatra App) মাধ্যমে বিমানবন্দরে প্রবেশের সুবিধা চালু রয়েছে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি বিমানবন্দরেই। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা, পুণে, হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াড়া বিমানবন্দরে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাগডোগরা, রাঁচি, চেন্নাই, শ্রীনগর, ইনদওর, কোয়েম্বাটোর, রায়পুর, বিশাখাপত্তনম, ভুবনেশ্বর, গোয়ার মতো দেশের ১২টি বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা চালু হতে চলছে।

আরও পড়ুন– ‘এর কোনও ক্ষমা নেই’; আরজি করের তরুণী চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণকাণ্ডে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি? বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সুবিধা পাওয়ার জন্য যাত্রীদের স্মার্টফোনে ডিজি যাত্রা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। আধার কার্ডও লিঙ্ক করে রাখতে হবে অ্যাপে। টিকিট কাটার পর বোর্ডিং পাসটি ডিজি যাত্রা অ্যাপে আপলোড করতে হবে। বিমানসংস্থা ডিজি যাত্রা আইডি এবং যাত্রীদের তথ্য বিমানবন্দরে পাঠাবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় যাত্রীকে বোর্ডিং পাস বা ই-টিকেটের বারকোড স্ক্যান করতে হবে মেশিনে। বারকোড স্ক্যান করার পরে প্রযুক্তির মাধ্যমেই যাত্রী এবং ফ্লাইটের তথ্য নিশ্চিত করা হবে। ডিজি যাত্রা আইডি এবং টিকিট যাচাইয়ের পর প্রবেশপথের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে।

তবে, এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে সিআইএসএফ যাত্রীর পরিচয় যাচাই করে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেবে। বিমানবন্দর কর্তাদের মতে, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হয়, তার থেকে অর্ধেক সময়ে প্রবেশ করা যাবে। এদিকে, যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আরও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এখন দিনে গড়ে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন এই বিমানবন্দর থেকে। সবমিলিয়ে বসার ব্যবস্থা রয়েছে ১১০০ জনের। এছাড়াও রয়েছে সদ্য চালু হওয়া ফুড কোর্ট ও রেস্তোরাঁ।