স্থানীয়দের বিক্ষোভ

Bangla News: সাধের স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের কাজ বন্ধ করে তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কারণ জানলে চমকে উঠবেন!

মালদহ: মালদহে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে কাজের অভিযোগে বিক্ষোভ। মালদহের মানিকচকের নুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের।

মালদহের মানিকচকের নুরপুরে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কয়েকমাস আগে থেকে পুরনো হাসপাতাল ভবন আমূল সংস্কার করে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়। এরআগে পুরনো ভবনটি রীতিমতো ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ছিল। সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। ভবন সংস্কার ও নির্মাণের দায়িত্বে রাজ্য পূর্ত দফতর। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, অত্যন্ত নিম্নমানের ইঁট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি। চোখের সামনে নিম্নমানের কাজ দেখে চুপ থাকেননি স্থানীয়রা।

ভেঙে দেওয়া হয়েছে নির্মাণ
ভেঙে দেওয়া হয়েছে নির্মাণ

আরও পড়ুন: আগামী দু’ঘণ্টায় কলকাতায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, জারি দমকা হাওয়া-বাজের সতর্কতা! আবহাওয়ার বড় খবর

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্থানীয়দের ভিড় বাড়তে থাকে নির্মীয়মান স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে। বেলার দিকে শুরু হয় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে কর্মরত শ্রমিকরাও জানান, দুই নম্বর ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ হচ্ছে। তবে, তাঁদের সাফায় এজেন্সি যা ইট, বালি, সিমেন্ট সরবরাহ করছে তা দিয়েই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন তৈরি করছেন তাঁরা। কার্যত হাতেনাতে নিম্নমানের কাজ ধরে দ্রুত বিষয়টির সমাধান চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনিক দফতরে।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সদস্যাকে সুস্থ করতে না পারায় এ কী কাণ্ড! ঘরের ভিতর উদ্ধার রক্তাক্ত মহিলা, কেন জানেন?

উল্লেখ্য, নুরপুর থেকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। এখানে পৌঁছতে যথেষ্ট সময় লাগে। রাত বিরেতে কেউ অসুস্থ হলে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছনো কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়। আবার প্রসূতি মায়েদের নিয়ে যেতেও যথেষ্ট অসুবিধেয় পড়তে হয় পরিবার-পরিজনকে। স্থানীয়দের দাবি, নুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উন্নত হলে কয়েক হাজার মানুষের সুবিধে হবে। নুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এর আগে চিকিৎসক থেকে শুরু করে বেডেরও ব্যবস্থা ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই হারিয়ে যায় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

চিকিৎসক থাকলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছিল। সেই ভগ্নদশা কাটাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ফলে আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা। আর এই কারণেই নিম্নমানের কাজ বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এদিকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভীক শংকর কুমার।

সেবক দেবশর্মা