শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা (ডানদিকে)৷

Sheikh Hasina sister Sheikh Rehana: ফিরল ৪৯ বছর আগের স্মৃতি, এবারেও দেশ ছাড়লেন একসঙ্গে! হাসিনার ছায়াসঙ্গী রেহানাকে চেনেন?

কলকাতা: ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট যখন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের উপরে সপরিবারে আক্রমণ চালায় বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর একাংশ, তখন ইউরোপে শেখ হাসিনার সঙ্গেই ছিলেন তাঁর বোন শেখ রেহানা৷ ৪৯ বছর পর সোমবার যখন ঢাকা থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন, তখনও তাঁর সঙ্গী ছিলেন সেই শেখ রেহানা৷

শেখ রেহানা মুজিবর রহমানের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন৷ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিকবার বিদেশ সফরেও তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে ৬৮ বছর বয়সি রেহানাকে৷ শেখ রেহানা নিজেও অবশ্য আওয়ামি লিগের একজন প্রথম সারির নেত্রী ছিলেন৷ ২০০৭-০৮ সালে বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা চলাকালীন শেখ হাসিনাকে জেলবন্দি থাকতে হয়েছিল৷ সেই সময়ও দলের হয়ে সভা, সমাবেশের আয়োজন করতেন এই শেখ রেহানাই৷

১৯৭৫ সালে যখন মুজিবর রহমান, তাঁর স্ত্রী বেগম ফাজিলাতুন্নিসা, তাঁদের তিন ছেলে কমল, জামাল, রাসেল এবং মুজিবরের দুই নববিবাহিত পুত্রবধূকে সামরিক অভুত্থানের নামে হত্যা করা হয়, তখন এই শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলে্ন শেখ রেহানা৷  সপরিবার মুজিব হত্যার দু দিন আগেই একসঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন দুই বোন৷ সেই সময় জার্মানিতে কর্মরত ছিলেন হাসিনার স্বামী প্রয়াত পদার্থবিদ ওয়াজেদ মিঁয়া৷ স্বামীর কাছেই বোনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন হাসিনা৷ দুই বোনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন মুজিবর রহমান সহ পরিবারের সব সদস্য৷ তখনও হাসিনা এবং রেহানা জানতেন না, বাবা-মা, তিন দাদা, দুই বউদির সঙ্গে সেটাই তাঁদের শেষ সাক্ষাৎ৷

আরও পড়ুন: আরও বিপাকে হাসিনা, বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল আমেরিকা! এবার কী করবেন?

এর বছর দুয়েক পরে বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ শফিক আহমেদ সিদ্দিকিকে বিয়ে করেন তিনি৷ লন্ডনে এই বিয়ে হয়েছিল৷ শোনা যায়, অর্থাভাবে নিজের প্রিয় বোনের বিয়েতেও যেতে পারেননি হাসিনা৷

রেহানার তিন সন্তানের মধ্যে পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও আওয়ামি লিগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত৷ আবার রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনে লেবার পার্টির সঙ্গে যুক্ত৷ বর্তমানে তিনি ব্রিটেন সরকারের প্রশাসনিক পদেও রয়েছেন৷ রেহানার তৃতীয় সন্তান আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তি অবশ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন৷ রেহানা নিজেও ব্রিটেনের নাগরিক৷

ভারতের পর শেখ হাসিনার পরবর্তী ঠিকানা কী হবে, কোন দেশে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় পাবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে৷ যদিও রেহানা দ্রুত ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেন বলেই শোনা গিয়েছে৷