শেখ আব্দুল সামাদ

Inspiration & Motivation: যে হাত ইট গাঁথে, সে হাত কবিতাও লেখে! পেশায় রাজমিস্ত্রি আব্দুল তাক লাগাচ্ছেন কবিতা লিখে

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: ছোট্ট এক খুপড়ি ঘরে বাস। সারাদিন কাটে ছেনি-হাতুড়ি নিয়ে। পেশায় রাজমিস্ত্রি আব্দুল সামাদ, সারাদিন পরিশ্রমের পর নিজের এক কামরার ভাড়া করা খুপড়ি ঘরে রেডিও চালিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে পাথেয় করে লেখেন খাতার পর খাতা কবিতা। কী ভাবছেন রাজমিস্ত্রি কবি? এও  সম্ভব? আবু সামাদ লিখেছেন ৩০০ এর বেশি কবিতা। রয়েছে পাঁচটি কবিতার বই। রয়েছে নিজস্ব পত্রিকা। স্নেহ করে আবু সামাদকে চিঠি পর্যন্ত লিখেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। স্কুলের গন্ডি অতিক্রম অধরা হলেও আব্দুল সামাদ অর্জন করেছেন প্রচুর সম্মান। কবিতার জগতে রয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা।

সারাদিন হাড় ভাঙা খাটুনির পর অধিকাংশ দিনমজুর এবং রাজমিস্ত্রিরা একটু আনন্দ খোঁজেন দিনান্তে। এখানেই আবু সামাদ অন্যরকম। তিনি জানান, কিছু গঠনমূলক করতে চেয়েছিলেন সব সময়। স্কুলজীবন থেকে শুরু করেন কবিতা লেখা। বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কাজের সন্ধানে বাঁকুড়া এসেছেন বহু দিন। তাঁর দিনের সঙ্গী ইট বালি পাথর লোহা, রাতের সঙ্গী খাতা পেন। তার কলম পৌঁছেছে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি। আবু সামাদের যেন রয়েছে একটি দ্বৈত সত্তা। দিনে কর্মঠ পরিশ্রমী একটি মানুষ রাতে একজন কবি।

আরও পড়ুন : ২০০ হাতি হত্যা করে দেশবাসীর খাবার যোগাড় করবে খরা ও খাদ্যসঙ্কটে বিপর্যস্ত এই দেশ

আবু সামাদ জানিয়েছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অনুপ্রেরণা। বহুদিন ধরেই নিজের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন আব্দুল সামাদ। রোজগারের তাগিদে,সংসার চালানোর তাগিদে কিন্তু ভুলে যাননি তাঁর মাটির কথা। চাকরির দোহাই দিয়ে যারা নিজেদের সৃজনশীল প্যাশনকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন, তাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে শিক্ষা দিলেন বাঁকুড়ার রাজমিস্ত্রি কবি আব্দুল সামাদ।