বাসন্তী পুজো 

Bankura News: তীব্র দাবদাহে মহা-অষ্টমী পুজো বাঁকুড়ায়! কুমারী পুজোয় মাতলেন সকলে!

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করে মহা অষ্টমী পালিত হল মঙ্গলবার। বাসন্তী পুজোর অষ্টমী। চিরাচরিত দুর্গাপুজোর মতোই কুমারী পুজো করা হল বাঁকুড়াতে। বাঁকুড়া শহরের প্রতাপ বাগানের শ্রী শ্রী মোহনানন্দ সেবা সংঘে কুমারী রূপে পূজিত হলেন মা বাসন্তী।

১৯৮১ সালে ভিত পুজো করা হয় এই আশ্রমে। ১৯৮২ সালে শুরু হয় মা বাসন্তীর পুজো। বাসন্তী পূজার এদিন ছিল মহাঅষ্টমী। মহা অষ্টমী এবং মহানবমীর দিনে কুমারী রূপে পূজিত হন মা। প্রথা মেনে মহাসমারোহে পালিত হল অষ্টমী। সেবা সংঘের ভারপ্রাপ্ত ইন চার্জ রামপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানান, “১৯৮১ সালে গুরু মহারাজের হাত ধরে শুরু হয় সেবা সংঘের ভিত পূজা। ১৯৮২ সালে শুরু হয় বাসন্তী পুজো। চিরাচরিত প্রথা মেনে মহাষষ্ঠী এবং মহাসপ্তমীর পর কুমারী পুজো দিয়ে সম্পন্ন হল মহা অষ্টমী।”

আরও পড়ুন: বাসেই ছিল ছেলে-বউ ও চার বছরের শিশু! ওড়িশার জাজপুরের বাস দুর্ঘটনার কবলে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার!

মহা অষ্টমীর বাসন্তী পুজোয় উপস্থিত ছিলেন শ্রী দিনেশানন্দ ব্রহ্মচারী। ভারতীয় রীতিতে কুমারী পুজোর সিগনিফিকেন্স কি তা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, মন্দির তৈরি করে মূর্তি পুজো করলে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হয়। কিন্তু কুমারীর মধ্যে আগে থেকেই প্রাণ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সেই কারণেই কুমারী রূপে মাকে পুজো করা হয়। পুজোর পর ছিল ভক্তদের জন্য প্রসাদ গ্রহণের ব্যবস্থা। অষ্টমীর দিন একজন এবং নবমীর দিন দুইজন কুমারীকে মা রূপে করা হবে পুজো।

বাসন্তী দুর্গা আরাধনা হল বাঙালির আদি দুর্গা আরাধনা। শরতের অকালবোধন জনপ্রিয় হওয়ার আগে থেকেই মায়ের আবাহন হয়ে আসে এই সময়। বাঁকুড়া এখন তীব্র গরম। ভয়ংকর দাবদাহের মধ্যেই বাসন্তী পুজোয় মেতেছে বাঁকুড়ার মানুষ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী