বিহারীনাথ পাহাড়

Bankura News: বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ পাহাড় বিহারীনাথে সবুজায়নের চেষ্টা! খুশি পর্যটকেরা

বাঁকুড়া: তাহলে কি বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের পরে, জেলা সর্বোচ্চ শৃঙ্গে হবে সবুজ বোমাবাজি? খুবই সাম্প্রতিক বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের পাথুরে এলাকাতে ছড়ানহয়েছে বীজবম্ব, যার জেরে পাথুরে বন্ধা জমিতে হয়েছে সবুজ বিপ্লব, গজিয়েছে গাছ। বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্য বনপাল। মুখ্য বনপাল জানান পরবর্তীকালে শুশুনিয়ার মতই বিহারীনাথে করা হবে বীজ বম্বিং। তবে তার আগে বিহারীনাথ পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতে করা হবে সবুজায়ন।

বাঁকুড়ার বিহারিনাথ পাহাড়, বাঁকুড়া জেলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। তবে শুশুনিয়া পাহাড়ের মত যেন জনপ্রিয়তা নেই এই পাহাড়ের। পর্যটন ক্ষেত্রে হোক কিংবা সবুজায়ন সবক্ষেত্রেই যেন পিছনের আসনে থাকে বিহারীনাথ। তবে বন দফতরের তরফ থেকে পালন করা হচ্ছে বনমহোৎসব। সেই কারণেই হয়ত বর্ষার শুরুতেই লাইম লাইটে এল বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের শালতোড়া রেঞ্জের বিহারীনাথ ডিভিশনে, আদিবাসীদের হাত ধরে লাগানহল চারা।

আরও পড়ুন : শুশুনিয়া পাহাড় এর সম্পদ বাঁচনোর মরিয়া চেষ্টা, তৈরি হল বিলুপ্তপ্রায় গাছের বাগান

এই পুরো কর্মসূচিতে যোগদান করেন কেন্দ্রীয় চক্র মুখ্য বনপাল এস কুলানডাইভেল। এলাকার বনসুরক্ষা কমিটির সঙ্গে যৌথভাবে পাহাড় সংলগ্ন খালি জায়গাতে লাগানো হল চারা গাছ। ন্যূনতম ৩০ থেকে ৪০ হাজার চারা লাগানোর কথা বলেছেন মুখ্যবনপাল। আধ্যাত্মিক কারণে হোক কিংবা ঘুরে দেখার জন্য প্রতিবছর বিহারীনাথ পাহাড়ে হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় জমে। এলাকার আদিবাসীদের দাবি শাল এবং পিয়াল গাছ লাগালে তাদের সুবিধা হবে, যদিও এই দুই গাছ লাগানোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা থাকলেও বন দফতরেরতরফ থেকে এদিন লাগানো হলএমন গাছ যেগুলি কম মাটিতে খুব সহজেই বেড়ে উঠতে পারে যেমন, নিম, শিরীষ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন : এই পুকুরে ডুব দিলেই মিরাকেল, জল খেলেই শরীরে আসে শক্তি, রোগ হয় দূর, কোথায় এই পুকুর

বিহারীনাথ পাহাড় সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকাতে, বিভিন্ন কারণে ফাঁকা হয়ে গেছে ভূপ্রকৃতি। দেখা যাচ্ছে না সবুজ, বর্ষা শেষের আগে সেই জায়গা গুলিকে সবুজ করে তুলতে এমনই উদ্যোগ বনদফতরের। বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বিহারীনাথ। ঘুরে দেখার এক দুর্দান্ত জায়গা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

জেলা বন দফতরের উদ্যোগে, বিহারীনাথের সবুজায়ন সেই কারণেই সাধুবাদ কুড়িয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের এবং পর্যটকদের।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী