কলকাতার কাছে মধুচক্রের হদিস।

Adult relationship arrest: কলকাতা শহরতলিতে মধুচক্রের হদিস! উদ্ধার গর্ভনিরোধক-সহ বিভিন্ন সামগ্রী, গ্রেফতার বহু

উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্য জুড়ে যেখানে নারীরা সোচ্চার হয়েছেন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে, পাশাপাশি নারী সুরক্ষার দাবি জানাচ্ছেন। সেই আবহে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ অভিযানে নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকার বোর্ডঘর এলাকায় হানা দিয়ে এক বিশাল মধুচক্রের হদিস পেল পুলিশ।

আরও পড়ুন: শিয়রে গভীর নিম্নচাপ, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ! মাটি হবে পুজোর বাজার?

উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন মহিলা ও ১৬ জন যুবককে। শুধু তাই নয়, ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ নেশার তরল পানীয় (বিয়ার), নগদ ৮২ হাজার টাকা, প্রচুর কন্ডোম, কিউআর কোড, ল্যাপটপ, আইপ্যাড ও প্রায় ছটি মোবাইল ফোন। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যাডিশনাল ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দ্রবদন ঝা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়েন্দা বিভাগ এবং নিউ বারাকপুর ও ঘোলা থানার যৌথ উদ্যোগে হানা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: হাজার টাকা নিয়ে গেলেই এই দেশে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে চলুন

বোর্ডঘর এলাকার সুধীনপল্লির এক দ্বিতল বাড়িতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ব্যারাকপুর পুলিশের বিশেষ দল পৌঁছয়। অভিযান চালিয়ে ১৫ জন যুবক ও ৯ জন মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছিল এই বিরাট মধু চক্রের আসর বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও একাধিক বার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বহু যুবককে আটক করেছিল পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও এই ব্যবসা চালাত বলে জানা গিয়েছে।

মহিলাদের বয়স ২৫-এর উপরে। মধুচক্রের মূল পাণ্ডা হিসাবে অভিযুক্ত রনি দে-কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল সে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও দাপিয়ে মধু চক্র চালাচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর পিছনে রাজনৈতিক নেতাদের মদত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে এসে যুগবেড়িয়া দক্ষিণ বোর্ডঘর এলাকায় নিজের দোতলা বাড়িতে রমরমিয়ে ফেঁদে ছিল ব্যবসা।