মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ প্রোটিন যোগায়। কিন্তু ভাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। বেশি খেলে মুশকিল। কিন্তু ভাত ছাড়া তো চলবে না। তাহলে উপায়? অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা বাদামি চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই নয়, পুষ্টিকরও। এখন সাদা ও বাদামি চালের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে দেখে নেওয়া যাক।বাদামি চালের উপকারিতা: বাদামি চালে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। যা হজমে সাহায্য করে এবং অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া বাদামি চালে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ওজন কমাতেও সহায়ক। নিয়মিত বাদামি চালের ভাত খেলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।বাদামি চাল হল এক প্রকার গোটা শস্য। ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার ইত্যাদি প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ গোটা শস্যে পাওয়া যায়। প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে ভিটামিন ই-ও রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে সাদা চালের তুলনায় বাদামি চাল ফুটতে বেশি সময় লাগে বেশি।বাদামি চালের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বাদামি চালের যেমন অনেক উপকার রয়েছে তেমনই এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এতে অত্যধিক মাত্রায় ফাইটিক অ্যাসিড থাকে, যা খাদ্যের পুষ্টিগুণ শোষণে বাধা দেয়। তাছাড়া অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস এবং ফোলার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।চিকিৎসকদের পরামর্শ: বিখ্যাত পুষ্টিবিদ স্বাতী চৌহান অবশ্য বাদামি চালের ভাত খাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। লোকাল 18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ডায়েটে ব্রাউন রাইস রাখার কথা জানিয়ে বলেছেন, এর অনেক উপকারিতা। তবে নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়া উচিত। অন্যান্য শস্য এবং শাকসবজির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তাঁর মতে, যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা নিয়মিত বাদামি চালের ভাত খেতে পারেন। তবে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে এর ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন।
