শোলা শিল্পী 

Durga Puja 2024: রাত-দিন এক করে চলছে…! পুজোর আগেই টাকার জন্যই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে ‘এই’ কাজ করছেন মহিলারা

উত্তর দিনাজপুর: পুজোর আগেই চরম ব্যস্ততা উত্তর দিনাজপুর জেলার শোলার শিল্পীদের। শোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত এই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা। হাতে কম সময় তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে ইতিমধ্যেই জোর কদমে শুরু করে দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের শোলার ফুল তৈরির কাজ। একদিকে যেমন পুজোর উপাচার থেকে সরঞ্জাম এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জীবনে ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে তেমনি এই মহিলা শোলার শিল্পীদেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে।

নাওয়া খাওয়া ভুলে ইতিমধ্যেই তাঁরা শুরু করে দিয়েছে শোলার চাঁদ মালা , মুকুট,কদম ফুল, ঝোরা ফুল, ইত্যাদি তৈরির কাজ। দুর্গাপূজোর আগেই শোলার ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় অনেক বেশি। কারণ শোলার কদম ফুল দেবীদুর্গার সন্তুষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়।। একই সঙ্গে শুভকামনা মানতের জন্য এই শোলার জিনিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ইতিমধ্যেই এই শিল্পীরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন-দিঘায় এবার তুলকালাম কাণ্ড…! কী এমন ঘটল? শুনেই সাগরে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ, জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

কারিগররা জানান, কাঁচা শোলার সঙ্কটের জন্য বেশি দাম দিয়ে শোলা কিনে নিতে হচ্ছে। পরিশ্রমের তুলনায় আয় কম হওয়ায় বর্তমান প্রজন্মের কেউ এই পেশায় আসতে চাইছেন না।। তবে শত কষ্টের মধ্যেও এই মহিলারা দুটো পয়সার জন্য এখনও এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বাগুন বটতলী একটি পাড়া জুড়ে বহু মহিলারাই এই শোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাইকারদের কাছ থেকে শোলা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে তারা নিজেদের বাড়িতে বসেই ফুল-সহ শোলার বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করছেন। মায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শোলা ছাড়া যেন সম্পূর্ণ হয় না। শোলার চাঁদ মালা, কদম ফুল, নব প্রতিমার পট, ঘট কাপালি, মুকুট-সহ বিভিন্ন ধরনের শোলার জিনিস দুর্গাপুজোয় প্রয়োজন হয়। এই প্রতিবছর এই মহিলারা দুর্গাপুজাোর সময়ে সকলে একত্রিত হয়ে এই শোলার কাজ করতে ব্যস্ত থাকেন।

আরও পড়ুন-অসহ্য নরকযন্ত্রণা…! একাধিক প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ক্ষত-বিক্ষত জীবন, এবার যা করলেন ঐশ্বর্য… শুনলে আঁতকে উঠবেন

এই মহিলারা জানান, এই শোলার বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে তারা পাইকারদের দেন। এবং পাইকার মারফত সেগুলো পৌঁছে যায় উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ বিভিন্ন জেলার দোকানে দোকানে। বর্তমানে শোলা পাওয়া যায় না, তাই এই পেশা টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। শোলা পাওয়া গেলেও তা অনেক দূর দূরান্ত থেকে সংগ্রহ করতে হয় এবং দামও দ্বিগুণ । তাই পরিশ্রমের তুলনায় সঠিক দাম না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এবার শোলার তৈরি কারিগরদের।

পিয়া গুপ্তা