শুভেন্দুর ফের বড় দাবি

Bengal Bjp: দলের বৈঠকে মুকুলের কথা তুললেন শুভেন্দু! করলেন বড় দাবি, বিজেপি অফিসের বাইরে তখন বিরাট কাণ্ড

কলকাতা: লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর প্রথমবার বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠক করল বঙ্গ বিজেপি। সাইন্স সিটি অডিটোরিয়ামে হওয়া ওই বৈঠকে লোকসভা ভোটে ভরাডুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে ২৬-এর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হল ওই বৈঠক থেকে। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, শান্তনু ঠাকুর, সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে। বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলা সভাপতি, ইনচার্জ, মোর্চা নেতৃত্বরা ছিলেন।

সেই বৈঠকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”বিজেপি বাংলায় অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের লোকেরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালের পর বুথ স্তরের সংগঠনকে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল অত্যাচার করে। এক লক্ষের বেশি আমাদের বুথে বসা ছেলে পালিয়েছিল রাজ্য ছেড়ে। তারপর আমরা চেষ্টা করে তাদের রাজ্যে এনেছি, সফল নবান্ন অভিযান করেছি। বিধানসভার ভিতরে বাইরে লড়াই করেছি । চুলচেরা বিশ্লেষণের দরকার আছে। উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়ার আসন হারব, এ আমি ভাবিনি। আমি কখনও এমন কোনও শব্দ বলি না, যাতে বুথের কমিটি হতাশ হন। মুকুল রায়ের মতো সব হারিয়ে বিজেপিতে আসিনি, সব ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি।”

আরও পড়ুন: ভ্রমণে বিশ্বের সেরা শহরের তালিকা প্রকাশিত! ভারত থেকে জায়গা ৩ শহরের! খুশির হাওয়া কলকাতায়

শুভেন্দুর সংযোজন, ”আমার সংগঠন নিয়ে যা বলার ছিল সেটা দিল্লিতে বলে এসেছি সুনীল বনসলকে। ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। আমি জানিয়ে এসেছি কীভাবে বাংলাকে বাঁচানো যায়। এর পরের ভোটে দেখবেন আমাকেও ভোট দিতে দেবে না। ভয়ংকর অবস্থা বাংলায়। এখনই না জাগলে ভারতে আর থাকবে না পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। সাংগঠনিক দুর্বলতা পরে হবে, ভোট করতে হবে আগে।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, ”জয় পরাজয় ঠিক হয় ভোটের ফল দিয়ে। অনেকে বলছেন, বিজেপি হেরে গেছে, এখনও বলব বিজেপি হেরে গেছে, হারিয়ে যায়নি। পরাজয়ের থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। আমাদের কর্মীদের কর্মের পরিশ্রমের ফল আমরা পাব। সকল প্রাক্তন সভাপতিদের স্মরণ করতে চাই। তাদের জন্যই আমরা এই জায়গায় আছি।”

এদিকে, বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে বিজেপির একাংশের বিক্ষোভ। একদিকে যখন পর্যালোচনা বৈঠক চলছে তখন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন বিজেপির একাংশ কর্মী। তাদের দাবি, একদিকে যখন কর্মীরা ঘর ছাড়া রয়েছেন তখন দলের সম্পদ নষ্ট করে ফাইভ স্টার হোটেলে বৈঠক চলে। কর্মীদের কথা না ভেবে অযোগ্য দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করা হয়। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে একাংশ কে নিশানা করে বিক্ষোভ দেখালেন তারা।