কমলাভোগ

Bengal Special Sweet: কমলালেবুর রস মিশিয়ে লোভনীয় মিষ্টান্ন ভোগ, ৮ থেকে ৮০ এই স্বাদে পাগল! আপনি খেয়েছেন?

আলিপুরদুয়ার: পর্যটনের জন্য বিখ্যাত আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ার জেলায় এসে এই মিষ্টি না খেলে ঘুরতে আসা বেকার হয়ে যাবে আপনার। এই মিষ্টির নাম কমলাভোগ।

এই মিষ্টির নাম দিয়েও আলাদা পরিচিতি রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার।আর কোথাও নয় জেলার একমাত্র মাদারিহাট এলাকায় পাওয়া যায় এই মিষ্টি। ৮০ বছর আগে এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী ননী পাল এই মিষ্টি প্রথম তৈরি করেছিলেন। ভুটানের কমলালেবুর স্বাদ ও গন্ধ দুটোই অতুলনীয়। ননী বাবু ভেবেছিলেন এই কমলার স্বাদ যদি সারা বছর গ্রাহকদের তৃপ্ত করে, তাহলে মন্দ হবে না। কমলার রস বের করে তা ছানার সঙ্গে মিশিয়ে গোল আকার দেন তিনি। যুগান্তকারী এই মিষ্টির নাম হয় কমলাভোগ।

আরও পড়ুন: তিস্তাপারের এই গ্রামের ছেলেমেয়েদের নাকি বিয়েই হচ্ছে না! কারণটা জানলে হা হয়ে যাবেন!

প্রথম ১০০টি মিষ্টি তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে ১০০০ টি কমলাভোগ তৈরি করেও শান্তি মেলে না। জলদাপাড়ায় পর্যটকরা বেড়াতে এলেই এই মিষ্টি খেয়ে যান ও নিয়েও যান। ননী গোপাল বাবু এখন আর নেই তবে তাঁর নামে দোকানটি রয়ে গিয়েছে। তাঁর সৃষ্টি কমলাভোগ জনপ্রিয় স্থানীয় ও পর্যটকদের কাছে। এক পিস কমলাভোগের দাম ১৫ টাকা।
বর্তমানে দোকানটি দেখভাল করছেন ননীবাবুর ছেলে নীতিশ পাল। তিনি জানান, “এই কমলাভোগের স্বাদ নিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে সে সময় এই মিষ্টি পাঠানো হয় এই দোকান থেকে। তিনি আপ্লুত হয়েছিলেন এই মিষ্টি খেয়ে।”

আরও পড়ুন: ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয় জানেন? বিশেষজ্ঞের টিপস শুনলে চমকে যাবেন!

আজও আসল কমলালেবু দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই কমলাভোগ মিষ্টি। কোনও কৃত্রিম রং বা এসেন্স ব্যবহার করা হয় না এই মিষ্টিতে। সারাবছর কমলা মেলে না, তাই কমলার মরসুমেই সংরক্ষণ করে রাখা হয় কমলা। কোনও কারণে কমলার রস নষ্ট হয়ে গেলে কমলার বাকল ব্যবহার করেও তৈরি হয় এই মিষ্টি।

Annanya Dey