পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Best Age Gap For Marriage: ৩, ৫, ১০ না ১৫…! স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ফারাক ‘কত’ হলে পারফেক্ট? কী বলছে বিজ্ঞান? চমকে দেবে ‘এই’ উত্তর Gallery May 16, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস করা হয় যে স্বামীর বয়স স্ত্রীর বয়সের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু, একই সমাজে এমন অনেক সফল দম্পতি রয়েছেন যেখানে স্ত্রী স্বামীর চেয়ে বয়সে বড়। আবার উল্টোটাও দেখা যায় এই সমাজেই যেখানে স্বামী স্ত্রী-র চেয়ে বেশ অনেকটাই বড়। এমন পরিস্থিতিতে সবার মনেই প্রশ্ন থেকে যায় স্বামী-স্ত্রীর বয়সের আদর্শ ব্যবধান কতটা হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ কী বলে? ঐতিহ্যগতভাবে, ভারতীয় সমাজে বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন। এই সম্পর্ককে বলা হয় সাত জন্মের বন্ধন। কিন্তু, পরিবর্তনশীল সমাজে, বিবাহ সংক্রান্ত মানুষের চিন্তাধারা এবং অনেক ঐতিহ্যেরও পরিবর্তন হয়েছে যুগে যুগে কালে কালে। সাধারণত আমাদের সমাজে পারিবারিক ভাবে সম্বন্ধ করে বিয়ের প্রথা থাকলেও এখন তরুণ প্রজন্ম প্রেমের বিয়ের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন, যাকে এককথায় বলা হয় লাভ ম্যারেজ। সব ক্ষেত্রেই কিছু ভাল মন্দ থাকে সম্পর্কের চরাই উৎরাই থাকে। ইতিমধ্যে চলছে বিয়ের মরশুমও। তাই চলুন এই প্রসঙ্গে আজ জেনে নেওয়া যাক বিয়ে সংক্রান্ত একটি বিশেষ তথ্য। সাধারণত বলা হয় প্রেম অন্ধ। কোন নারী কোন পুরুষের হৃদয়ে থাকবে বা কোন পুরুষ কোন নারীর হৃদয়ে নিজের স্থান করে নেবে তা এমনকি নাকি ঈশ্বরেরও অজানা। এখানে সব বিজ্ঞান ব্যর্থ। তাই বয়সের ফারাক দেখে বৈবাহিক সম্পর্ক কতটা মজবুত হবে তা নিশ্চিত বলা যায় না। এরকম অনেক উদাহরণই আমাদের সামনে রয়েছে। ঠিক যেমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরের কথা ক্ষেত্রে অনেকেই জানবেন শচীনের স্ত্রী অঞ্জলি তাঁর থেকে চার বছরের বড়। এরকম ভুঁড়ি ভুঁড়ি উদাহরণ আছে আমাদের আশেপাশে। তবে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আমরা জেনে নেব, বিজ্ঞান অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া কাম্য। এই প্রসঙ্গে আসার আগে, আমরা আপনাকে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে বিজ্ঞানে বিবাহের কোনও ধারণাই নেই। বরং এই আলোচনাকে এই ভাবে বলা যেতে পারে যে একজন পুরুষ ও একজন নারীর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত। বিজ্ঞানে এর জন্য ইংরেজি শব্দ copulation (শারীরিক সম্পর্ক) ব্যবহৃত হয়েছে। এর মতে, নারী-পুরুষের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটলেই তাঁরা শারীরিক সম্পর্কে সক্ষম হন। এই পরিবর্তন ৭ থেকে ১৩ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে ঘটতে শুরু করে। যেখানে পুরুষদের মধ্যে এই পরিবর্তন ঘটে ৯ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। তার মানে এই হরমোনের পরিবর্তন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে তাড়াতাড়ি ঘটে। এ কারণে তারা পুরুষদের তুলনায় তাড়াতাড়ি শারীরিক সম্পর্ক করতে সক্ষম হন। তবে এই হরমোন পরিবর্তনের মানে এই নয় যে মেয়ে বা ছেলেটিকে তার পরেই বিয়ে করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশেই যৌন মিলনের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। আমাদের দেশে শারীরিক সম্পর্কের সর্বনিম্ন বয়সও ১৮ বছর। এর পাশাপাশি আমাদের দেশে আইনগতভাবে বিয়ের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা আছে। মেয়েদের বয়স ১৮ বছর এবং ছেলেদের বয়স ২১ বছর রাখা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বয়সের মধ্যে তিন বছরের ব্যবধান এই দেশে আইনত গ্রহণযোগ্য। তবে সম্প্রতি মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও দায়ের করা হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ঐতিহ্যগতভাবে ভারতীয় সমাজে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ বছরের ব্যবধান গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরা হয়। একইসঙ্গে সমাজ আরও বলে যে একটি মেয়ের বয়স একটি ছেলের চেয়ে কম হওয়া উচিত। তবে, কখনও কখনও এই ব্যবধান ১০ থেকে ১৫ বছরেরও হয়। বিখ্যাত অভিনেতা শাহিদ কাপুর এবং তার স্ত্রী মীরা কাপুরের মধ্যে প্রায় ১৫ বছরের ব্যবধান রয়েছে। তথাপি তারকা দম্পতি কিন্তু সুখেই কাটিয়ে দিচ্ছেন বিবাহিত জীবন।