প্রাচীন সেই প্রবাদের কথা কে না জানেন! কথায় বলে, ডাক্তারের কাছে না যেতে চাইলে রোজ ১টা করে আপেল খান! তাহলেই সুস্থতা গ্যারান্টেড! সত্যিই কি তাই?আপেলের বীজে সায়ানাইড নামক একটি বিষাক্ত যৌগ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে আপেলের বীজ খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি এবং গুরুতর সমস্যা হতে পারে।তবে, আপেলের অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসের গুণে কোষ থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর হয়। এর অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি গুণ বজায় রাখে সুস্থতা।ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি ছাড়াও ফোলেট ও নিয়াসিন আছে আপেলের খোসায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি, দৃষ্টিশক্তি এবং এনার্জি মেটাবলিজমের জন্য দরকার আপেলের খোসার উপকারিতা।আপেলের খোসায় প্রচুর ইনসল্যুবল ফাইবার আছে। তাতে হজমে সাহায্য করে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তাতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রিত হয়।আপেলের স্বাদের জন্যও অনেকেই খেতে ভালবাসেন এই ফল। দাম অন্যান্য ফলের তুলনায় একটু বেশি হলেও আপেলের পুষ্টিগুণের কথা জেনেই অনেকে খান।আপেলকে বায়োঅ্যাকটিভ পলিফেনল এবং ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা শিরায় খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। অর্থাৎ আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।আপেলে আছে প্রচুর ফাইবার। সল্যুবল ফাইবার পেক্টিন সাহায্য করে পরিপাকে। খাওয়ার আগে আপেল খেলে ক্যালরি কম যায় শরীরে। আপেলের পলিফেনল মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে। ওয়েট ম্যানেজমেন্টে আপেল খুবই কার্যকর।আপেলের স্বাদের জন্যও অনেকেই খেতে ভালবাসেন এই ফল। দাম অন্যান্য ফলের তুলনায় একটু বেশি হলেও আপেলের পুষ্টিগুণের কথা জেনেই অনেকে খান।বিশেষজ্ঞদের মতে, আপেলকে কিন্তু কখনও কোলেস্টরেলের ওষুধের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে না, তবে ওষুধের সঙ্গে আপেল খেলে কোলেস্টেরল থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়। যাইহোক, ওষুধ এবং খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও, প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং উন্নত জীবনধারা প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।তাই বলে যখন তখন আপেল খেয়ে নেওয়া কি ভাল? ভুলটা করেন অনেকেই।আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডিম্পল ঝাংরা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময়ের কথা বলেছেন।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের দিকে আপেল খেলে শরীরের জন্য তা ভাল। অনেকেই মনে করেন, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর আপেল খেলে তা উপকারী।তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে ব্রেকফাস্টের সময় আপেল খাওয়ার বহু গুণ রয়েছে। তবে রাতে আপেল না খাওয়াই ভাল। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। সুগার লেবেলও বদলায়।
