লাইফস্টাইল Bhoot Chaturdashi 14 Saag Names & Benefits: পালং-পুঁই নয় কিন্তু! এগুলিই ভূত চতুর্দশীর ১৪ শাক! কোনটা খেলে পালাবে ব্লাড সুগার, কোষ্ঠকাঠিন্য? জানুন Gallery October 22, 2024 Bangla Digital Desk আসছে ভূত চতুর্দশী৷ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় এই পার্বণ৷ এ বছর ভূত চতুর্দশী পড়েছে দৃক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী এ বছর ভূত চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর দুপুর ১.১৫ মিনিটে। ভূত চতুর্দশী তিথি থাকবে ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.৫২ পর্যন্ত। তার পরই শুরু হবে অমাবস্যা। যে তিথিতে কালীপুজো হবে। এই তিথিতে ১৪ শাক খাওয়া হয়৷ প্রজ্বলন করা হয় ১৪ বাতি৷ মনে করা হয় এই শাকগুলি খেলে মরশুমি পরিবর্তনে রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত হয়৷ ১৪ বাতি প্রজ্বলিত করে সম্মান জানানো হয় বিগত ঊর্ধ্বতন ১৪ পূর্বপুরুষকে৷ এই ১৪ শাকের সম্মিলিত স্বাদ তিতকুটে৷ ঋতু পরিবর্তনের সময় এই স্বাদ গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ এই ১৪ শাকের কথা বলেছেন নব্য স্মৃতিশাস্ত্রকার রঘুনন্দন৷ বাংলা পঞ্জিকাতেও ১৪ শাক বলতে উল্লেখ আছে এদের কথাই৷ সব্জি হিসেবে খেলেও আমরা অধিকাংশই ওলের পাতা বা শাক কেমন দেখতে চিনি না ৷ খাওয়া যায় ওলের ডাঁটাও৷ আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, ওলশাক রক্ষা করে মরসুমি ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশির হাত থেকে৷ অরুচি দূর করে৷ পরিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ওলশাক৷ কৃমির সমস্যা কমাতে, অখিদে দূর করতে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে কেঁউশাকের গুরুত্ব আছে৷ এছাড়া চর্মরোগ নাশ করার জন্যও এই শাক উপকারী৷ নিয়মিত সেবনে বাড়ে ত্বকের লাবণ্যও৷ লিভারকে সুস্থ রাখতে বেতো শাক জুড়িহীন৷ এছাড়া অখিদে, কৃমির সমস্যা, পাইলসের যন্ত্রণা উপশমেও কার্যকর এই শাক৷ কিডনিতে পাথর হলে বা মূত্রত্যাগের সময় প্রদাহ অনুভব করলে বেতো শাকের রস খেলে আরাম পাওয়া যায়৷ পঞ্জাবি রান্নার ‘সর্ষো কি শাগ’ ভেষজ গুণের আধারও৷ এই শাক খেলে রক্তে উপকারী কোলেস্টেরল বা গুড কোলেস্টেরল বাড়ে৷ দেহে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে৷ অ্যালার্জি-সহ ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর ও ক্ষত নিরাময়ের জন্য এই কালকাসুন্দে পাতা ব্যবহৃত হয়৷ সর্দিকাশি জ্বরে এই পাতার রস দেওয়া হয়৷ অরুচি এবং পেটের রোগ কমাতেও এই শাক উপকারী৷ নিমপাতার উপকারিতা তো বলে শেষ করা যায় না৷ মধুমেহ এবং পেটের রোগ প্রশমনে নিমপাতার মতো কার্যকারিতা বিরল৷ নিয়মিত নিমের রসে উজ্জ্বল থাকে ত্বক৷ বাচ্চাদের কৃমির সমস্যা দূর করতেও নিমের রস খেতে বলা হয়৷ অনাদরে পড়ে থাকা জয়ন্তী পাতা সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে বহু সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়৷ সারতে না চাওয়া একঘেয়ে কাঁচা সর্দি, নাক বন্ধ এবং মাথা ভার হয়ে থাকার সমস্যায় কার্যকর এই পাতা৷ মধুমেহ নিয়ন্ত্রণেও এই পাতার রস ব্যবহার কর হয়৷ জলা জায়গায় জন্মানো সাঞ্চি বা মালঞ্চ বা শাঞ্চে শাক পেট ঠান্ডা রাখে৷ পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে৷ অখিদে দূর করে খিদে বাড়ায়৷ প্রচুর ফাইবার থাকায় এই শাকের জন্য রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রিত হয়৷ আয়রন সমৃদ্ধ বলে রক্তাল্পতাও প্রতিরোধ করে৷ হিলঞ্চ শাককে অনেকে ডাকেন হিঞ্চে বলেও৷ আয়ুর্বেদ মতে, এই শাক রক্তশোধক এবং ক্ষুধাবর্ধক৷ পাশাপাশি, পিত্ত সমস্যাতেও কার্যকর৷ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে এই শাক৷ পটলের পাতাই পরিচিত পলতাপাতা নামে৷ খিদে ও হজমশক্তি দুই-ই বাড়ায় এই পাতার তিক্ত স্বাদ৷ নিয়মিত খেলে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য৷ পুরনো ক্ষত, জ্বর, চোখের সংক্রমণ উপশমে শৌলফ পাতার রস কার্যকর৷ মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতে এবং বাচ্চদের পেটের গণ্ডগোল সারাতে এই শাক দেওয়া হয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়৷ ঋতু পরিবর্তনে গুলঞ্চ শাক শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে৷ মধুমেহ, পেটের আলসার, গেঁটে বাত, জন্ডিস, যক্ষ্মা ও কোষ্ঠকাঠিন্যে এই শাক উপকারী৷ লিভারের সমস্যা, চুল পড়া, হাঁপানি, সর্দিকাশি, চর্মোগ-সহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভাটপাতা ব্যবহার করা হয়৷ চর্মরোগ, মাউথ আলসার, উচ্চরক্তচাপ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা শুষনি শাক দেন৷ নিয়মিত এই শাক খেলে মানসিক চাপ জনিত যে কোনও সমস্যা ও মাথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ৷