কলকাতা: নিখুঁতভাবে বাইক চালানো মুখের কথা নয়। প্রায়ই ছোট-বড় ভুল করে বসেন চালক। ক্ষতি হয় বাইকের। তখন গাদাগুচ্ছের টাকা নষ্ট। তবে সবচেয়ে বেশি ভুল হয় ক্লাচে। এটা ঠিক করে নিতে পারলেই ইঞ্জিন এবং পেট্রোল বাঁচবে, সঙ্গে বাঁচবে টাকাও।
বাইক চালানোর সময় অনেকেই ক্লাচ অর্ধেক চাপেন। মনে হতে পারে, এটা আর কী এমন ব্যাপার! কিন্তু এ থেকেই দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়। ইঞ্জিনে এর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। সঙ্গে দু’দিন অন্তর ক্লাচপ্লেট খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
আরও পড়ুন- ৫ তারকা বিদেশীকে বাদ দিচ্ছে কেকেআর! তালিকায় একের পর এক চমকে ওঠা নাম
ইঞ্জিনের সঙ্গে গিয়ার বক্সের সংযোগ কেটে দেওয়াই ক্লাচের কাজ। যাতে নির্বিঘ্নে গিয়ার বদলানো যায়। চালক যখন ক্লাচ চাপেন, তখন ইঞ্জিনের সঙ্গে গিয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, গিয়ার বদলাতে কোনও সমস্যা হয় না।
কিন্তু অনেকেই গিয়ার বদলানোর সময় ক্লাচ অর্ধেক চাপেন। আবার কখনও কখনও অর্ধেক ক্লাচ চেপে ধরেই বাইক চালান। এতে ক্লাচপ্লেটের উপর চাপ পড়ে। তাছাড়া হাফ ক্লাচে গিয়ার বদলালে ইঞ্জিন গিয়ার বক্স থেকে ঠিক মতো আলাদা হয় না। বাইকের পারফরম্যান্স এবং মাইলেজ কমে যায়।
নতুন ক্লাচপ্লেটের দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। বাইকের মডেলের উপর নির্ভর করে দাম আরও বাড়তে পারে। বারবার ক্লাচপ্লেট খারাপ হলে এই টাকা পকেট থেকে যাবে। কিন্তু সঠিকভাবে বাইক চালালে ক্লাচপ্লেট অন্তর ৪ থেকে ৫ বছর টেঁকে।
আরও পড়ুন- দীপিকা পাড়ুকোন-ধোনির কি সত্যি সম্পর্ক ছিল? আসল সত্যিটা শুনুন, অনেকে জানেন না
টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, গিয়ার বদলানোর সময় ক্লাচ পুরো চাপতে হয়। তবেই ইঞ্জিন এবং গিয়ার বক্স সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাবে। ক্লাচ অর্ধেক চাপলে ক্লাচপ্লেট দ্রুত ক্ষয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পিক আপে সমস্যা দেখা দেয়। মাইলেজও কমে যায়।
ক্লাচ পুরো চাপলে এই সমস্যা হবে না। ইঞ্জিন এবং গিয়ারবক্স সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যাবে। বাইকের পারফরম্যান্স ঠিক থাকবে। ক্লাচপ্লেটের উপর চাপ পড়বে না। ফলে ক্লাচপ্লেট দীর্ঘদিন চলবে। ইঞ্জিন ভাল থাকবে। তেল বাঁচবে। আর তার সঙ্গে বাঁচবে চালকের টাকা।