কম দামে পুরনো বাড়ি কেনেন দম্পতি, কার্পেট সরাতেই ‘গুপ্তধন’! (Representative Image-Canva)

কম দামে পুরনো বাড়ি কেনেন দম্পতি, কার্পেট সরাতেই ‘গুপ্তধন’! আনন্দে নাচতে শুরু করলেন দু’জনেই

পুরনো বাড়ি কিনলে নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়াটাই রেওয়াজ। গৃহপ্রবেশের আগে ঝাড়পোঁছ চলে। রঙ করানো হয়। তারপর আসে নতুন আসবাব। পুরনো এবং অকেজো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয় সবার আগে। আর এই করতে গিয়েই কখনও সখনও হাতে ঠেকে ‘গুপ্তধন’।

সম্প্রতি এক দম্পতির সঙ্গে এমনটাই ঘটেছে। পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন তাঁরা। নিজের মতো করে সাজাচ্ছিলেন। মেঝের পুরনো কার্পেট তুলে নতুন কার্পেট পাততে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ! এমন কাণ্ড হবে ভাবতেও পারেননি তাঁরা। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে টিকটকে।

আরও পড়ুন– বরের দিকে তাকাতেই কান্না শুরু! কনেকে থামাতে পারল না আত্মীয়স্বজনরাও, ভাইরাল হল ভিডিও

দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জশ এবং এমিলি (Josh and Emily) নামের এক দম্পতি পুরনো বাড়ির কার্পেট পাল্টাতে গিয়ে দেখেন নীচে ঝকঝকে কাঠের মেঝে। কার্পেট নোংরা হয়ে গিয়েছিল। কয়েক জায়গায় ছিঁড়েও গিয়েছে। সে জন্যই কার্পেট পাল্টানোর কথা ভাবেন তাঁরা। সেই করতে গিয়েও এমন গুপ্তধন মিলবে কে জানত!

কাঠের মেঝে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বসাতেও অনেক ঝক্কি। মোটা টাকা খরচ হয়। তাই এমন কাঠের মেঝে জশ আর এমিলির কাছে গুপ্তধনের চেয়ে কিছু কম নয়। মেঝেতে সূক্ষ কারুকাজ রয়েছে। প্রাচীনকালে মেঝেতে হিরের আকৃতির ডিজাইন করা হত। তাঁদের মেঝেটাও সেরকমই। পুরো ঘটনার ভিডিও করেন যোশ। পোস্ট করেছেন টিকটকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এমন মেঝে পেয়ে এমিলি খুব খুশি। চিৎকার করে বলছে, “দারুণ, দারুণ।’’

আরও পড়ুন– মধ্যবিত্ত ছেলের স্বপ্নভঙ্গ আর প্রতিশোধের গল্প; মুক্তি পেল ‘রবিনস কিচেন’-এর দ্বিতীয় গান ‘এমন কেন হয়’

দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটা ছোট ঘরে কাঠের মেঝে করতে প্রায় ২ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। অধিকাংশ মানুষ তাই এড়িয়েই যান। জশ আর এমিলির বাড়িতে দুটো ঘর। একটা বড় ডাইনিং। পুরো মেঝেটাই কাঠের। কাঠ অনুযায়ী দাম হয়। ভাল কাঠ হলে বাড়ির দামও বাড়ে। এক্ষেত্রে জশ আর এমিলির লক্ষ লক্ষ টাকা বেঁচে গিয়েছে বলাই বাহুল্য।

টিকটকে পোস্ট করা মাত্রই ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। অনেকেই বলছেন, জশ আর এমিলি লটারি জিতেছেন। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, “কার্পেট সরাতেই গুপ্তধন।’’ গুপ্তধন হোক বা লটারি জশ আর এমিলি বেজায় খুশি, পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা বলে কথা!