সলমন খান, আমির খান থেকে শুরু করে শাহরুখ খান৷ সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দা থেকে জ্যাকি শ্রফ৷ তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রত্যেক প্রথমসারির বলি তারকারা৷ শুধু গ্ল্যামার নয়, তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়েও বারবার তিনি মুগ্ধ করেছে তাঁর দর্শকদের৷ কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে তাঁকে৷ বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েছেন৷ সেই প্রেম সফল হয়নি…তারপর..
ছোট থেকেই দুষ্টু মিষ্টি দেখতে এই মেয়েটি কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য৷ মেয়েটির বাবা এবং দাদা রাজনীতির জগতে খুব সক্রিয় ছিলেন। রাজ পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ৷ কিন্তু, এমন পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি অভিনয়ের টানে চলে এসেছেন রুপোলি পর্দায়৷
একসময় বহু মানুষের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম৷ একসময় লড়াই করেছেন ক্যানসারের সঙ্গেও৷ শেষ মেশ ঘর বাঁধলেও টিকে থাকেনি সেই সংসারও৷ বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী একসময় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন নব্বইয়ের দশকে৷
কথা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে বিশিষ্ট কৈরালা পরিবারে জন্মগ্রহণকারী, মনীষা কৈরালার কথা৷ তিনি হলেন প্রকাশ কৈরালার কন্যা এবং নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালার নাতনি।
মনীষা তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন নেপালি ছবি ফেরি ভেতৌলা (১৯৮৯) দিয়ে। এরপর হিন্দি ছবি সওদাগর (১৯৯১) দিয়ে তাঁর বলিউডে অভিষেক হয়। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রাজকুমার ও দিলীপ কুমার। এই ছবির পর মনীষা হিন্দি, তামিল, তেলুগু, বাংলা, মালায়লাম, কন্নড়, নেপালি এবং একাধিক ইংরেজি ছবিতে কাজ করেন।
কথিত আছে, মনীষার ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে ছিল, তখন অভিনেতা নানা পাটেকরের প্রেমে পড়েন৷ কিন্তু, নানা পাটেকর সেই সময় বিবাহিত ছিলেন৷ দীর্ঘদিন সেই প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন চললেও, তা পরিণতি পায়নি৷ মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মনীষা নানা পাটেকরকেও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনি বিবাহিত হওয়ায় এই বিয়ে হয়নি।
নানা পাটেকর ছাড়াও মনীষা কৈরালার নাম জড়িয়েছে বিবেক মুশরান, ডিজে হুসেন, নাইজেরিয়ান ব্যবসায়ী সেসিল অ্যান্থনি, আরিয়ান বৈদ, প্রশান্ত চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্রিস্পিন কনরয়ের সঙ্গে।
অবশেষে মনীষা বিয়ে করেন ২০১০ সালে নেপালি ব্যবসায়ী সম্রাট দাহালকে৷ কিন্তু ২০১২ সালে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর থেকে, মনীষা কৈরালা তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ার এবং একজন সামাজিক কর্মী হিসাবে তার কাজের দিকে মনোনিবেশ করেছেন।
পরবর্তীকালে তিনি ক্যানসারের সাথে তার যুদ্ধ সম্পর্কে খুব খোলামেলা ছিলেন এবং এই রোগের সাথে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন।
Post navigation
Just another WordPress site