পাঁচমিশালি, বিনোদন Guess the Celebrity: বয়সে বড় বিবাহিত পুরুষের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন, ক্যারিয়ার তখন তুঙ্গে! ১২ জনের সম্পর্ক…চিনতে পারছেন শাহরুখ-সলমন-আমিরের এই নায়িকাকে? Gallery May 8, 2024 Bangla Digital Desk সলমন খান, আমির খান থেকে শুরু করে শাহরুখ খান৷ সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দা থেকে জ্যাকি শ্রফ৷ তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন প্রত্যেক প্রথমসারির বলি তারকারা৷ শুধু গ্ল্যামার নয়, তাঁর অভিনয় দক্ষতা দিয়েও বারবার তিনি মুগ্ধ করেছে তাঁর দর্শকদের৷ কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে তাঁকে৷ বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পড়েছেন৷ সেই প্রেম সফল হয়নি…তারপর.. ছোট থেকেই দুষ্টু মিষ্টি দেখতে এই মেয়েটি কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য৷ মেয়েটির বাবা এবং দাদা রাজনীতির জগতে খুব সক্রিয় ছিলেন। রাজ পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ৷ কিন্তু, এমন পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি অভিনয়ের টানে চলে এসেছেন রুপোলি পর্দায়৷ একসময় বহু মানুষের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম৷ একসময় লড়াই করেছেন ক্যানসারের সঙ্গেও৷ শেষ মেশ ঘর বাঁধলেও টিকে থাকেনি সেই সংসারও৷ বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী একসময় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন নব্বইয়ের দশকে৷ কথা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে বিশিষ্ট কৈরালা পরিবারে জন্মগ্রহণকারী, মনীষা কৈরালার কথা৷ তিনি হলেন প্রকাশ কৈরালার কন্যা এবং নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালার নাতনি। মনীষা তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন নেপালি ছবি ফেরি ভেতৌলা (১৯৮৯) দিয়ে। এরপর হিন্দি ছবি সওদাগর (১৯৯১) দিয়ে তাঁর বলিউডে অভিষেক হয়। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন রাজকুমার ও দিলীপ কুমার। এই ছবির পর মনীষা হিন্দি, তামিল, তেলুগু, বাংলা, মালায়লাম, কন্নড়, নেপালি এবং একাধিক ইংরেজি ছবিতে কাজ করেন। কথিত আছে, মনীষার ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে ছিল, তখন অভিনেতা নানা পাটেকরের প্রেমে পড়েন৷ কিন্তু, নানা পাটেকর সেই সময় বিবাহিত ছিলেন৷ দীর্ঘদিন সেই প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন চললেও, তা পরিণতি পায়নি৷ মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মনীষা নানা পাটেকরকেও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনি বিবাহিত হওয়ায় এই বিয়ে হয়নি। নানা পাটেকর ছাড়াও মনীষা কৈরালার নাম জড়িয়েছে বিবেক মুশরান, ডিজে হুসেন, নাইজেরিয়ান ব্যবসায়ী সেসিল অ্যান্থনি, আরিয়ান বৈদ, প্রশান্ত চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্রিস্পিন কনরয়ের সঙ্গে। অবশেষে মনীষা বিয়ে করেন ২০১০ সালে নেপালি ব্যবসায়ী সম্রাট দাহালকে৷ কিন্তু ২০১২ সালে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর থেকে, মনীষা কৈরালা তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ার এবং একজন সামাজিক কর্মী হিসাবে তার কাজের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। পরবর্তীকালে তিনি ক্যানসারের সাথে তার যুদ্ধ সম্পর্কে খুব খোলামেলা ছিলেন এবং এই রোগের সাথে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন।
বিনোদন Bollywood Gossip: ৮টা প্রেম, ৩টে বিয়ে! তাঁকে নিয়ে ঝগড়া লেগে গিয়েছিল ২ সুপারস্টারের মধ্যে…তবুও স্বামীর কাছে খেতেন বেধড়ক মার Gallery April 26, 2024 Bangla Digital Desk বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমান৷ সত্তরের দশকে রীতিমতো দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, গ্ল্যামার আর জৌলুসের দুনিয়ার পিছনে, ঠিক কেমন ছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন? কোন চরম সময় কাটাতে হয়েছিল তাঁকে৷ এই প্রতিবেদনে সেই পুরনো তথ্যই তুলে ধরব আমরা৷ অভিনয় বাদেও, তাঁর শরীরি আবেদনের ওম বার বার উষ্ণতা ছড়িয়েছে তাঁর ভক্তদের হৃদয়ে৷ আর রঙিন পর্দার আড়ালেও কিন্তু, তাঁর রূপমুগ্ধদের সংখ্যা কম ছিল না৷ অভিনয় জগতে আসার পরে একাধিক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছিল জিনাত আমনকে৷ কিন্তু, এমনই ভাগ্যের খেল, প্রতিবারই তাঁকে প্রতারিত হতে হয়। ১৯৭১ সালে, সেই যুগের সুপারস্টার দেবানন্দ, জিনাত আমানের প্রেমে পড়েন৷ সেই সময় তিনি দেবানন্দের ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ গানের মাধ্যমে দেশজোড়া জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। ওই সিনেমার পর থেকেই দেবানন্দ ও জিনাত আমানের বন্ধুত্ব শুরু। তবে সেই বন্ধুত্বেও এল তিক্ত সময়৷ জিনাত তখন তারকা৷ এক বলিউড পার্টিতে তিনি কথা বলছিলেন রাজ কপূরের সঙ্গে। আর সেই দৃশ্য দেখেই মেজাজ বিগড়ে যায় দেবানন্দের। জিনাত ও রাজ কাপুরের সম্পর্ক নিয়ে সে সময় বহু আলোচনা হয়। জিনাতকে নিয়ে দেবানন্দ ও রাজ কাপুরের মধ্যে বিবাদের খবরও ছিল প্রতিটা গসিপ ম্যাগাজিনের পাতায় পাতায়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিনাত আমানের আটটিরও বেশি সম্পর্ক ছিল। জিনাত আমানের নাম প্রথমে দেবানন্দের সঙ্গে জড়ায়। এরপর রাজ কপূরের সঙ্গে জিনাতের সম্পর্কের খবরও শিরোনাম আসতে থাকে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও জিনাত আমানের নাম জড়ায়। ১৯৭৮ সালে জিনাত আমান সঞ্জয় খানকে বিয়ে করেন। তবে গোপনে হওয়া এই বিয়ে বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে পারেননি। তাঁদের সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসে এবং শীঘ্রই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, জিনাত আমান তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ আনেন। একবার জিনাত আমানকে তাঁর স্বামী সঞ্জয় খান এতটাই মারধর করেছিলেন যে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এমনকি, জিনাতের মুখে অ্যাসিড ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। অবশেষে জিনাত আমান তাঁদের সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর জিনাত বহু বছর একাকী জীবনযাপন করেছিলেন। এর পরে তিনি মাজহার খানকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের কথা অনেকেই জানেন না। কিন্তু এই বিয়ের পরও জিনাত আমানের প্রেম পূর্ণতা পায়নি। এই বিয়েও কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপর ৫৪ বছর বয়সে তৃতীয়বার বিয়ে করেন জিনাত আমান। ২০১২ সালে, জিনাত তার বয়সের চেয়ে ২১ বছর ছোট আমান খান্নাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই বিয়েও পূর্ণাঙ্গ সাফল্য পায়নি। বিয়ে ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। জিনাত আমান এখন ৭২ বছর বয়সে একাকী জীবনযাপন করছেন।