সেলিম-জাভেদই আসল ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’, হিন্দি সিনেমায় নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন এই জুটি

Salim-Javed: সেলিম-জাভেদই আসল ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’, হিন্দি সিনেমায় নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন এই জুটি

পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগের কথা। তখন গোটা পাড়ায় হয়ত একটা বাড়িতে টিভি। বিনোদন বলতে লোকে সিনেমাই বুঝত। সেই সময় পর্দা কাঁপাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন। নেপথ্যে সেলিম-জাভেদ জুটি। অবশ্য সেলিম-জাভেদ বলতে একজনকেই বুঝত মানুষ।
পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগের কথা। তখন গোটা পাড়ায় হয়ত একটা বাড়িতে টিভি। বিনোদন বলতে লোকে সিনেমাই বুঝত। সেই সময় পর্দা কাঁপাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন। নেপথ্যে সেলিম-জাভেদ জুটি। অবশ্য সেলিম-জাভেদ বলতে একজনকেই বুঝত মানুষ।
চিত্রনাট্যকার সেলিম-জাভেদ মানে সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার। জুটি বেঁধে অজস্র হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তাঁদের জুটি বলিউডে নতুন যুগের গোড়াপত্তন করে বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ আগে অভিনেতার অভিনয় গুণেই সিনেমা চলত। তাঁরাই প্রথম ছবির গল্পকে নায়ক বানালেন। এবং অবশ্যই সংলাপ।
চিত্রনাট্যকার সেলিম-জাভেদ মানে সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার। জুটি বেঁধে অজস্র হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তাঁদের জুটি বলিউডে নতুন যুগের গোড়াপত্তন করে বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ আগে অভিনেতার অভিনয় গুণেই সিনেমা চলত। তাঁরাই প্রথম ছবির গল্পকে নায়ক বানালেন। এবং অবশ্যই সংলাপ।
সেলিম-জাভেদ জুটি মানেই দুর্দান্ত গল্প আর অনবদ্য সব সংলাপ। গোটা হল ফেটে পড়বে হাততালিতে। একটা ছবির একটা কি বড় জোর দুটো সংলাপই হিট হয়। কিন্তু সেলিম-জাভেদ বদলে দিলেন এতদিনের চলে আসা রেওয়াজ। ‘জঞ্জির’ থেকে ‘শোলে’, একাধিক সংলাপ আজও গেঁথে রয়েছে দর্শক মনে। এই দু’জনের কাজ এবং জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ সম্প্রতি মুক্তি পেল অ্যামাজন প্রাইমে।
সেলিম-জাভেদ জুটি মানেই দুর্দান্ত গল্প আর অনবদ্য সব সংলাপ। গোটা হল ফেটে পড়বে হাততালিতে। একটা ছবির একটা কি বড় জোর দুটো সংলাপই হিট হয়। কিন্তু সেলিম-জাভেদ বদলে দিলেন এতদিনের চলে আসা রেওয়াজ। ‘জঞ্জির’ থেকে ‘শোলে’, একাধিক সংলাপ আজও গেঁথে রয়েছে দর্শক মনে। এই দু’জনের কাজ এবং জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ সম্প্রতি মুক্তি পেল অ্যামাজন প্রাইমে।
দু’জনেই দারিদ্র দেখেছেন। লড়াই করেছেন গরিবির সঙ্গে। সেখান থেকে তৈরি করেছেন নিজস্ব রাজপথ। দুর্দান্ত সব গল্প আর সংলাপে সমৃদ্ধ করেছেন হিন্দি চলচ্চিত্র দুনিয়াকে। সেই সময় ছবির পোস্টারে লেখক বা চিত্রনাট্যকারের নাম থাকত না। এই রেওয়াজও বদলে দেন তাঁরা।প্রকাশ মেহরার ‘জঞ্জির’ মুক্তি পাবে। পোস্টার ছাপানো চলছে। কিন্তু সেখানে চিত্রনাট্যকারের নাম নেই। সেলিম-জাভেদ জুটির মনে লাগল বিষয়টা। তাঁরা জোড় গলায় দাবি জানালেন, অভিনেতার মতো শিল্পীর নামও পোস্টারে থাকা উচিত।
দু’জনেই দারিদ্র দেখেছেন। লড়াই করেছেন গরিবির সঙ্গে। সেখান থেকে তৈরি করেছেন নিজস্ব রাজপথ। দুর্দান্ত সব গল্প আর সংলাপে সমৃদ্ধ করেছেন হিন্দি চলচ্চিত্র দুনিয়াকে। সেই সময় ছবির পোস্টারে লেখক বা চিত্রনাট্যকারের নাম থাকত না। এই রেওয়াজও বদলে দেন তাঁরা।
প্রকাশ মেহরার ‘জঞ্জির’ মুক্তি পাবে। পোস্টার ছাপানো চলছে। কিন্তু সেখানে চিত্রনাট্যকারের নাম নেই। সেলিম-জাভেদ জুটির মনে লাগল বিষয়টা। তাঁরা জোড় গলায় দাবি জানালেন, অভিনেতার মতো শিল্পীর নামও পোস্টারে থাকা উচিত।
তখন হাতে পোস্টার হত। অভিনেতাদের ছবি, সিনেমা এবং পরিচালকের নামই লেখা থাকত শুধু। তাঁরা যখন প্রতিবাদ করছেন, ততক্ষণে পোস্টার রিলিজ হয়ে গিয়েছে। কিছু করার নেই। কিন্তু সেলিম-জাভেদ জুটি ছাড়ার পাত্র নন। তাঁরা দৈনিক ভিত্তিতে চিত্রশিল্পী নিয়োগ করে নতুন করে পোস্টার আঁকালেন। তাতে লেখক হিসাবে দিলেন নিজেদের নাম। গোটা রাত জুড়ে মুম্বইয়ে লাগানো হল সেই পোস্টার। পরদিন প্রকাশ মেহরা এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র পরিচালকদের নজরে পড়ল সেলিম-জাভেদের কাণ্ড।
তখন হাতে পোস্টার হত। অভিনেতাদের ছবি, সিনেমা এবং পরিচালকের নামই লেখা থাকত শুধু। তাঁরা যখন প্রতিবাদ করছেন, ততক্ষণে পোস্টার রিলিজ হয়ে গিয়েছে। কিছু করার নেই। কিন্তু সেলিম-জাভেদ জুটি ছাড়ার পাত্র নন। তাঁরা দৈনিক ভিত্তিতে চিত্রশিল্পী নিয়োগ করে নতুন করে পোস্টার আঁকালেন। তাতে লেখক হিসাবে দিলেন নিজেদের নাম। গোটা রাত জুড়ে মুম্বইয়ে লাগানো হল সেই পোস্টার। পরদিন প্রকাশ মেহরা এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র পরিচালকদের নজরে পড়ল সেলিম-জাভেদের কাণ্ড।
তাঁরা মেনেও নিলেন, লেখকের নাম পোস্টারে থাকা উচিত। সেলিম এবং জাভেদ জুটি বেঁধে ২৪টি ছবির কাহিনি লিখেছেন। এর মধ্যে ২০টিই হিট। আজকের হিট সিনেমাগুলোও ‘ডন’, ‘ত্রিশূল’ বা ‘কালাপাত্থর’-এর মতো দর্শকের মুখে মুখে ফেরে না। কে ভুলতে পারে ‘কিতনে আদমি থে’-এর মতো সংলাপ।
তাঁরা মেনেও নিলেন, লেখকের নাম পোস্টারে থাকা উচিত। সেলিম এবং জাভেদ জুটি বেঁধে ২৪টি ছবির কাহিনি লিখেছেন। এর মধ্যে ২০টিই হিট। আজকের হিট সিনেমাগুলোও ‘ডন’, ‘ত্রিশূল’ বা ‘কালাপাত্থর’-এর মতো দর্শকের মুখে মুখে ফেরে না। কে ভুলতে পারে ‘কিতনে আদমি থে’-এর মতো সংলাপ।