বিনোদন তথ্যচিত্রে কেন যৌথভাবে কোনও সাক্ষাৎকার দিলেন না সেলিম-জাভেদ? অবশেষে মুখ খুললেন জোয়া আখতার Gallery September 3, 2024 Bangla Digital Desk আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বলিউড মাতিয়ে রেখেছিল সেলিম-জাভেদ জুটি। উপহার দিয়েছেন ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’-এর মতো আইকনিক সব ছবি। সম্প্রতি তাঁদের নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘দ্য অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ মুক্তি পেয়েছে অ্যামাজন প্রাইমে। আশ্চর্যের বিষয় হল, তথ্যচিত্রে সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার কোনও যৌথ সাক্ষাৎকার দেননি। আলাদা আলাদা ভাবে দুটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পরিচালক নম্রতা রাও। এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এক সময় যাঁরা একসঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন, আজ কী তাঁদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তথ্যচিত্রের সহ প্রযোজক জোয়া আখতারকে। তিনি অবশ্য বিষয়টা এড়িয়েই গিয়েছেন। জোয়ার কথায়, “এটা পরিচালকের ব্যাপার। নম্রতা ওঁদের সাক্ষাৎকার আলাদাভাবে শ্যুট করেছেন। আমার তো মনে হয়, ভালই হয়েছে। দুজনের ব্যক্তিগত জীবন এবং যাত্রা উঠে এসেছে আলদা আলাদা ভাবে। একদম শেষে একসঙ্গে দু’জনকে দেখা গিয়েছে। নম্রতার দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে আমি একমত।’’ তথ্যচিত্রের পরিচালক হিসাবে তিনি নিজে বা ফারহান আখতারকে কেন দেখা গেল না? সেই প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দিয়েছেন জোয়া। তিনি বলছেন, “চেয়েছিলাম পরিবারের বাইরের কেউ করুক। নম্রতা হিন্দি ছবি পছন্দ করেন। দু’জনের কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। একজন মহিলার চোখে ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ কীভাবে ধরা দেয়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’’ নম্রতার সঙ্গে ‘মেড ইন হেভেন’, ‘লাস্ট স্টোরিজ’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’-এ একসঙ্গে কাজ করেছেন জোয়া। তাঁর মতে, শক্তিশালী পুরুষ ব্যক্তিত্বে অনেক রকম শেড থাকে। সেগুলো পুরুষ একরকম ভাবে দেখে। আবার মহিলারা অন্যরকম ভাবে। ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ তথ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজক জোয়া আখতারের টাইগার বেবি, ফারহান আখতারের এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট এবং সালমান খান ফিল্মস। তিন পর্বের সিরিজে ফুটে উঠেছে সেলিম জাভেদের জুটি বাঁধার আখ্যান। সত্তরের দশকে রূপালি পর্দায় ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ চরিত্রের আবির্ভাবের নেপথ্য ভাষণ। ফিল্মি দুনিয়ার নানা অজানা গল্প। কীভাবে জন্ম নিয়েছিল ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’, ‘ডন’-এর মতো ছবি, তৎকালীন প্রজন্মের উপর তার প্রভাব কী ছিল, উঠে এসেছে তাও।
বিনোদন Salim-Javed: সেলিম-জাভেদই আসল ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’, হিন্দি সিনেমায় নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন এই জুটি Gallery August 28, 2024 Bangla Digital Desk পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগের কথা। তখন গোটা পাড়ায় হয়ত একটা বাড়িতে টিভি। বিনোদন বলতে লোকে সিনেমাই বুঝত। সেই সময় পর্দা কাঁপাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন। নেপথ্যে সেলিম-জাভেদ জুটি। অবশ্য সেলিম-জাভেদ বলতে একজনকেই বুঝত মানুষ। চিত্রনাট্যকার সেলিম-জাভেদ মানে সেলিম খান এবং জাভেদ আখতার। জুটি বেঁধে অজস্র হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তাঁদের জুটি বলিউডে নতুন যুগের গোড়াপত্তন করে বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ আগে অভিনেতার অভিনয় গুণেই সিনেমা চলত। তাঁরাই প্রথম ছবির গল্পকে নায়ক বানালেন। এবং অবশ্যই সংলাপ। সেলিম-জাভেদ জুটি মানেই দুর্দান্ত গল্প আর অনবদ্য সব সংলাপ। গোটা হল ফেটে পড়বে হাততালিতে। একটা ছবির একটা কি বড় জোর দুটো সংলাপই হিট হয়। কিন্তু সেলিম-জাভেদ বদলে দিলেন এতদিনের চলে আসা রেওয়াজ। ‘জঞ্জির’ থেকে ‘শোলে’, একাধিক সংলাপ আজও গেঁথে রয়েছে দর্শক মনে। এই দু’জনের কাজ এবং জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ সম্প্রতি মুক্তি পেল অ্যামাজন প্রাইমে। দু’জনেই দারিদ্র দেখেছেন। লড়াই করেছেন গরিবির সঙ্গে। সেখান থেকে তৈরি করেছেন নিজস্ব রাজপথ। দুর্দান্ত সব গল্প আর সংলাপে সমৃদ্ধ করেছেন হিন্দি চলচ্চিত্র দুনিয়াকে। সেই সময় ছবির পোস্টারে লেখক বা চিত্রনাট্যকারের নাম থাকত না। এই রেওয়াজও বদলে দেন তাঁরা।প্রকাশ মেহরার ‘জঞ্জির’ মুক্তি পাবে। পোস্টার ছাপানো চলছে। কিন্তু সেখানে চিত্রনাট্যকারের নাম নেই। সেলিম-জাভেদ জুটির মনে লাগল বিষয়টা। তাঁরা জোড় গলায় দাবি জানালেন, অভিনেতার মতো শিল্পীর নামও পোস্টারে থাকা উচিত। তখন হাতে পোস্টার হত। অভিনেতাদের ছবি, সিনেমা এবং পরিচালকের নামই লেখা থাকত শুধু। তাঁরা যখন প্রতিবাদ করছেন, ততক্ষণে পোস্টার রিলিজ হয়ে গিয়েছে। কিছু করার নেই। কিন্তু সেলিম-জাভেদ জুটি ছাড়ার পাত্র নন। তাঁরা দৈনিক ভিত্তিতে চিত্রশিল্পী নিয়োগ করে নতুন করে পোস্টার আঁকালেন। তাতে লেখক হিসাবে দিলেন নিজেদের নাম। গোটা রাত জুড়ে মুম্বইয়ে লাগানো হল সেই পোস্টার। পরদিন প্রকাশ মেহরা এবং অন্যান্য চলচ্চিত্র পরিচালকদের নজরে পড়ল সেলিম-জাভেদের কাণ্ড। তাঁরা মেনেও নিলেন, লেখকের নাম পোস্টারে থাকা উচিত। সেলিম এবং জাভেদ জুটি বেঁধে ২৪টি ছবির কাহিনি লিখেছেন। এর মধ্যে ২০টিই হিট। আজকের হিট সিনেমাগুলোও ‘ডন’, ‘ত্রিশূল’ বা ‘কালাপাত্থর’-এর মতো দর্শকের মুখে মুখে ফেরে না। কে ভুলতে পারে ‘কিতনে আদমি থে’-এর মতো সংলাপ।
বিনোদন Bollywood Gossip: ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে আমরা বড় হয়েছি’, সলমন খানের সঙ্গে বলিউডে কার এত বন্ধুত্ব? Gallery August 26, 2024 Bangla Digital Desk আশি এবং নব্বইয়ের দশক মানে সেলিম-জাভেদ জুটি। বলিউডে তখন রাজত্ব চালাচ্ছেন তাঁরাই। তাঁদের হাতেই তৈরি হয়েছে একাধিক কিংবদন্তী সিনেমা। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম? না, সেলিম খানের ছেলে সলমন এবং জাভেদ আখতারের মেয়ে জোয়াকে জুটি বাঁধতে দেখা যায়নি আজ পর্যন্ত। এবার কী সেই আশা পূরণ হতে চলেছে? সম্প্রতি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন জোয়া আখতার। তিনি জানিয়েছেন, এমনটা হলে সোনায় সোহাগা হবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে বিষয়বস্তুর উপর। দু’পক্ষ সম্মতি হলে জুটি বাঁধতে কোনও অসুবিধা নেই। ‘লাক বাই চান্স’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’, ‘গালি বয়’-এর মতো একাধিক আইকনিক ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন জোয়া। তাঁর পরিচালনায় কাজ করেছেন বলিউডের তাবড় অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। কিন্তু সলমন নন। বলিউডে এখন অন্য ধারার ছবির যুগ। এখানে গল্পই প্রধান। চরিত্রাভিনেতারা কাজ পাচ্ছেন আগের চেয়ে বেশি। কিন্তু তারপরেও ‘ভাইজান’-এর জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে দর্শক হৃদয়ে। তাঁর ছবি দেখতে আজও উপচে পড়ে সিনেমা হল। বলিউড হাঙ্গামা-কে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সলমনের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জোয়া বলেন, “দারুন ব্যাপার হবে। তিনি মেগাস্টার। অন্যরকমের ব্যক্তিত্ব। বিশাল ফ্যানবেস। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে হলে এমন বিষয় খুঁজে বের করতে হবে, যা একই সঙ্গে আমার এবং সলমন, উভয়ের পছন্দসই হয়। পাশাপাশি সলমনের ভক্তদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। যে মুহূর্তে আমরা এরকম কোনও গল্প পাব, ব্যস, অনেক মজা হবে।’’ সেলিম-জাভেদ জুটির কাজ নিয়ে অ্যামাজন প্রাইমে তৈরি হয়েছে ডকু-সিরিজ ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’। এই সিরিজের সহ প্রযোজক জোয়া। ডকু-সিরিজ নিয়ে সলমনের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। ভাই তথা অভিনেতা এবং পরিচালক ফারহান আখতারকে নিয়ে সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন জোয়া। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “দারুন অভিজ্ঞতা। বারান্দায় বসে একসঙ্গে চা খেলাম। কথা হল। সলমনের ভাগ্নেরা ওখানেই ছিলেন। গ্যালাক্সিতে ফিরে যাওয়া এক অন্যরকমের অনুভূতি, আমরা ওখানেই বড় হয়েছি। বাগানে খেলেছি। সব মনে পড়ে যাচ্ছিল।’’
বিনোদন Salim Khan and Javed Akhtar’s Split: জাভেদ আখতার ও সেলিম খানের বিচ্ছেদের কারণ কী? মুখ খুললেন শাবানা আজমি Gallery July 3, 2024 Bangla Digital Desk শোলে, জঞ্জির, দিওয়ার, ডন – একের পর এক ব্লকব্লাস্টার উপহার দিয়েছেন জাভেদ-সেলিম জুটি৷ তারপর ১৯৮২ সালে, হঠাৎ করেই এই দুই জুটি ভেঙে গেল৷ এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে বিস্তারিত জানালেন শাবানা হাজমি৷ সেলিম খানের ছেলে, আরবাজ খানের টক শো, ‘The Invincibles’-এ শাবানা আজমি জানালেন, ‘‘কেন যে, সেলিম আর জাভেদের বিচ্ছেদ হয়েছিল? আজও জানি না৷’’ বেশ কয়েক বছর আগে জাভেদ আখতার মজো স্টোরিতে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, ‘‘দু’জন যখন প্রথম শুরু করেছিলাম, তখন আমরা প্রায় কিছুই ছিলাম না৷ দীর্ঘসময় ধরে আমরা সমুদ্রের ধারে বসতাম৷ চিত্রনাট্য নিয়ে কথা বলতাম৷ প্রথম দিকে আমার একটা পেয়িং গেস্ট ছিল. সেখানে ও আসত৷ সেলিমেরও একটা ছোট ঘর ছিল৷ আমিও ওখানে যেতাম৷ , যখন তুমি বিখ্যাত হতে শুরু করো, সমস্য়া শুরু সেখান থেকেই৷ কেবল দু’জন নয়, তখন আরও অনেকে জীবনে আসতে থাকে৷ আমাদের মধ্যে অনেকরকম সুপ্ত বাসনা থাকে, তখন সেই গুলোও মাথাচাড়া দেয়৷’’ অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেন, টাকাপয়সা ও ক্রেডিট দেওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও রকম সমস্যা হয়নি, ‘‘আসলে আপনি যখন নতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ করবেন, তখন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনি মানুষটাও চেঞ্জ হতে শুরু করবেন৷ আমরা কিন্তু কোনওদিন ঝামেলা করিনি৷ টাকা, ক্রেডিট দেওয়া কোনওকিছু নিয়েই কোনও রকম সমস্যা হয়নি৷ কেবল হঠাৎ করেই আমরা আলাদা হয়ে গেলাম৷’’ ‘‘আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম, আমাদের মধ্যে সম্পর্কগুলো আর নেই৷ আমরা সন্ধেবেলায় আর এক সঙ্গে বসি না৷ আমাদের দু’জনারই আলাদা আলাদা বন্ধুদের গ্রুপ তৈরি হয়েছে৷ এই আলাদা হওয়াটা, সম্পর্কের আলগা হয়ে যাওয়াটা কাজে প্রভাব ফেলছিল৷’’ তবে শাবানা হাজমি ‘The Invincibles’ টক শো তে জাভেদ আখতারের মদ্যপানের আসক্তির কথাও জানিয়েছেন৷ সেই কঠিন সময়ের কথাও টক শোতে বলেছেন৷ জাভেদ আখতারের প্রথম স্ত্রী হানি ইরানি ও তাঁদের সন্তান ফারহান আখতার ও জোয়া আখতারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলছিলেন৷