মহিলার অভিযোগ খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট৷

Bombay high court: ১৯৮৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ধর্ষণ! মহিলার অভিযোগ কেন খারিজ করে দিল আদালত?

মুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুম্বাই: ১৯৮৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ ৭৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা৷ যদিও অভিযোগ খতিয়ে দেখে এবং দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সেই মহিলার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত৷

বিচারপতি এ এস গড়কড়ি এবং বিচারপতি নীলা গোখেলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, পারস্পরিক সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলে অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্ত৷ দুই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এফআরআই-এর বয়ান থেকেই পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি স্পষ্ট৷

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতিরা বলেন, দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে দু জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু এই ৩১ বছরের মধ্যে একবারের জন্যও তিনি এই সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে একটা শব্দ উচ্চারণ করেননি৷ এটা একেবারেই পরিষ্কার যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে এবং তার জেরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: খুব শীঘ্রই ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস স্লিপার কোচ, কেমন দেখতে হবে ট্রেন? কী কী সুবিধা মিলবে? জানুন

অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯৮৭ সালে অভিযুক্তের সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী৷ সেই সময় থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন বলে অভিযোগ৷ ১৯৮৭ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী তিরিশ বছরে মুম্বাইয়ের কল্যাণ, ভিওয়ান্ডি সহ বিভিন্ন জায়গার হোটেলে অভিযুক্ত ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ৷

এফআইআর-এ ওই মহিলা আরও দাবি করেন, অভিযুক্ত তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ১৯৯৩ সালে একটি মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দিয়ে অভিযুক্ত তাঁকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে ঘোষণা করেন৷ ১৯৯৬ সালে অভিযুক্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হন৷ সেই সময় থেকে অভিযুক্তের সংস্থার দেখাশোনা করতে থাকেন ওই মহিলা৷

২০১৭ সালে অভিযোগকারিণীর মা ক্যানসারে আক্রান্ত হন৷ তখন সংস্থা থেকে ছুটি নেন ওই মহিলা৷ কয়েক মাস পর তিনি যখন ফিরে আসেন তখন দেখেন ওই সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তখন তিনি ওই মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন৷ এমন কি প্রতিশ্রুতি মতো আয়কর, বিমা সহ বিভিন্ন নথি এবং সোনার মঙ্গলসূত্রও অভিযোগকারিণীকে দিতে অস্বীকার করেন ওই অভিযুক্ত৷

অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুই বিচারপতি বলেন, ওই ব্যক্তি যে বিবাহিত, তা জেনেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিযোগকারিণী৷ এমন কি, বার বার অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বিশ্বাসও করেছিলেন  অভিযোগকারিণী৷ আদালত আরও বলে, সম্পর্কের শুরু থেকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ওই মহিলা জানতেন যে অভিযুক্ত বিবাহিত৷ অভিযুক্ত এমন কোনও প্রতিশ্রিুতি দেননি যে তিনি প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করবেন৷ আদালত আরও বলে, গত ৩১ বছরে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর অনেক সুযোগ ছিল৷ কিন্তু তিনি তা করেননি৷