#দোহা: নেইমার নাকি ভিনি, রাফিনহা নাকি রড্রিগো? ক্যাসেমির নাকি ফ্রেড? কাকে ছেড়ে কার কথা লিখতে হবে? এই ব্রাজিলের ১১ জন ফুটবলার বিশ্বকাপে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ফুটবল বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল কুড়ি বছর পর আবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে। কাকতালীয় হলেও সেই এশিয়ার মাটি থেকেই।
হেক্সা থেকে আর তিন ধাপ দূরে ব্রাজিল।
চলতি বিশ্বকাপে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে সেলেকাওরা। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন নেইমার-কাসেমিরোরা। সাম্বা ম্যাজিকে দক্ষিণ কোরিয়াকে চূর্ণ করার পর শুক্রবার শেষ আটের লড়াইয়ে তিতের দলের সামনে ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিল কোচ পরিষ্কার বলছেন, কোয়ার্টার ফাইনালে ফিট স্কোয়াড হাতে পাব। এটাই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।
গতবারের রানার্স ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ আটের লড়াইয়ে দলে ফিরতে পারেন লেফট ব্যাক অ্যালেক্স স্যান্ড্রো। সেটাও বড় স্বস্তি দিচ্ছে তিতেকে। অসুস্থ পেলেকে উদ্দীপনার আসনে বসিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেইমাররা। ফুটবল সম্রাটকে দেশের ষষ্ঠ (হেক্সা) বিশ্বকাপ জয় উৎসর্গ করার সঙ্কল্পে বিভোর তাঁরা।
ব্যক্তিগতভাবে নেইমারের সামনেও রয়েছে রেকর্ডের হাতছানি। শুক্রবার মডরিচদের বিরুদ্ধে স্কোর করলেই দেশের সর্বাধিক গোলসংখ্যায় পেলেকে (৭৭) স্পর্শ করবেন তিনি। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের আগে দলকে তাতাতে উদ্যোগী ব্রাজিল ফুটবল সংস্থাও (সিবিএফ)। কোয়ার্টার ফাইনালে বাকি সাতটি দলের থেকে আমরাই এগিয়ে— এমন বার্তা দিয়ে সিবিএফ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গ্রাফিক্স পোস্ট করেছে।
Bastidores da comemoração para as quartas de final! Vamos, Brasil! ?? pic.twitter.com/qKJVMESWjj
— CBF Futebol (@CBF_Futebol) December 6, 2022
তাতে স্কেচ করা হয়েছে পাঁচ বিশ্বজয়ী অধিনায়কের কাপসহ মুখ। অর্থাৎ ১৯৫৮ সালে হিল্ডারঅলডো বেলিনি, ১৯৬২’তে মাউরো র্যামোস, ১৯৭০ সালে কার্লোস আলবার্তো তোরেস, ১৯৯৪ সালে দুঙ্গা ও ২০০২ বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কাফুর ছবির নীচে একলাইনের ক্যাপশন, ‘অমর’।
ব্রাজিল পাঁচবার জিতেছে বিশ্বকাপ। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা বাকি সাতটি দেশের কাপ জয় মোট পাঁচবার। তবে ব্রাজিল কোচ অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং হিসেবী মানুষ। তিনি জানেন ক্রোয়েশিয়া সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও ব্রাজিলকে থামাতে নিজেদের সবকিছু দিতে মরিয়া হবে লুকা মদ্রিচ, পেরিসিচ, ব্রজভিচরা।
আর নক আউটে বহু ফেভারিট দল অতীতে বিদায় নিয়েছে। অতএব মাটিতেই পা রাখছেন সেলেকাও কোচ। নেইমার চোট কাটিয়ে ফিরে আসার পর যেভাবে দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছেন সেটা ব্রাজিলকে অক্সিজেন দিয়েছে। দলের ড্রেসিংরুমের দেওয়ালে লেখা হয়েছে বিভিন্ন মোটিভেশনাল বার্তা। এই ব্রাজিলকে আটকায় কে?