দালাল দাপট

South Dinajpur News: হাসপাতালের বাইরে গজিয়ে ওঠা বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে দালালরাজ! রোগী ও পরিজনেরা অতিষ্ঠ

দক্ষিণ দিনাজপুর: দালালের দাপটে ব্যতিব্যস্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা। চিকিৎসকের কাছে আসতেই কেল্লা ফতে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা বেসরকারি ল্যাবরেটরি জুড়ে দালালরাজ।

অতিষ্ঠ দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে আসা সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে গজিয়ে ওঠা বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে তাঁদের নিযুক্ত দালালরা প্রতি দিন হাসপাতালে গেটের সামনে, আবার কখনও ডাক্তারের চেম্বারের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে রোগীদের নির্দিষ্ট ওষুধের দোকানে, ল্যাবে এবং চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করছে। দীর্ঘদিন যাবত এই ব্যবস্থা চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন- বাস থেকে নামিয়ে পরিচয়পত্র দেখেই গুলি! একে একে মৃত্যু ২৩ যাত্রীর! ভয়াবহ কাণ্ড

প্রসঙ্গত, জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে প্রশাসনকে জানানো হলে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও দালাল রাজ অব্যাহত থেকেছে। যতবার জানানো হয়েছে দু’এক দিন দালালদের অত্যাচার কমলেও কিছুদিনের মধ্যে পূর্বের প্রস্তুতিতে ফিরে গেছে। বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, বালুরঘাট শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকাতেই বেসরকারি ল্যাব রয়েছে প্রায় ১৫ টিরও বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধের দোকানেও রক্ত কালেক্ট করে এজেন্টরা অন্যান্য ল্যাব থেকেও রিপোর্ট তৈরি করান। এমনকি বালুরঘাটবাসীর অভিযোগ, এই সমস্ত ল্যাবগুলিতে ডিগ্রিধারী কোন ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই। রোগী কিংবা তাদের পরিজনদের সাহায্য করার নামে যেভাবে তাদের বাধ্য করা হয় নির্দিষ্ট দোকান ও ল্যাব থেকে ওষুধ নিতে ও পরীক্ষা করাতে তা এবার বন্ধ হওয়া উচিৎ।

আরও পড়ুন- একবার রাঁধলেই খেতে পারবেন সারা বছর! কোন সবজি, বলুন দেখি!

তবে, এবার আরজিকর কান্ড প্রকাশ্যে আসার পর বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পুলিশি নজরদারি একদিকে যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে পুলিশের সংখ্যাও। আর এর ফলে পুলিশের পেট্রোলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুফল মিলেছে। এমনকি হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজন সন্দেহভাজনকে। অভিযোগ, এই সমস্ত দালালরা এক প্রকার তাদের পথ আটকানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাধ্য করে নির্দিষ্ট ডাক্তার, নির্দিষ্ট ওষুধের দোকান কিংবা চুক্তিবদ্ধ করে নেওয়া ল্যাব থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে।
পাশাপাশি, এই সমস্ত ল্যাবের এজেন্টরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকেও ডাক্তারের করা প্রেসক্রিপশন হাতিয়ে নিয়ে রোগীর আত্মীয়দের নির্দিষ্ট ল্যাব থেকেই পরীক্ষা করাতে বাধ্য করেন। হাসপাতালে যে পরিষেবা আছে সেই পরিষেবা নিতে দেরি হয় যে কারণে এই দালালরা এখানে এত বেশি বেড়েছে। এই ধরনের বেনিয়ম চলতে দেওয়া যায় না, এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ। এমনই দাবি তুলেছে সাধারণ মানুষ।

সুস্মিতা গোস্বামী