রিনপুং জং : পারো জং নামেও পরিচিত এই রিনপুং জং। ভুটানি স্থাপত্যের অন্যতম সেরা উদাহরণ। ডিজং বার্ষিক উৎসব পারো শেচুরও আয়োজক। পারো একটি পবিত্র স্থান হওয়ার পাশাপাশি এটি পারো উপত্যকা এবং পারো ছু নদীর দর্শনীয় দৃশ্য। ভুটানের অন্যতম জনপ্রিয় এই জায়গায় একবার গেলে ফিরে আসার ইচ্ছেই করবেনা। এরই সঙ্গে স্বল্প খরচে হবে বিদেশ ভ্রমণ!গ্যাংটে: যদি গ্রামীণ জীবন, শিল্পকলা এবং ধর্ম সম্পর্কে জানতে চান, তা হলে ভুটানের গ্যাংটে উপত্যকায় যান। এই অত্যাশ্চর্য অবস্থানে অত্যাশ্চর্য প্যানোরামা, গভীর বন, সবুজ মাঠ এবং ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কৃত ভবন রয়েছে। মন ও চোখ জুড়োবেই। ভুটানের স্থাপত্যশৈলী প্রদর্শন করে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত গ্যাংটে মনাস্ট্রি ভুটানে দেখার জন্য অন্যতম সেরা স্থান। আপনি পরিযায়ী পাখিদের জন্য পর্যবেক্ষণ কক্ষ সহ ব্ল্যাক ক্রেন সেন্টারে যেতে পারেন।চিমি লাখাং মঠ: এটি ভুটানে দেখার জন্য সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি। চিমি লাখাং মঠ, ‘মনাস্ট্রি অফ দ্য ডিভাইন ম্যাডম্যান’ নামেও পরিচিত, ম্যাভেরিক সেন্ট ড্রুকপা কুনলি (স্বয়ং ‘ডিভাইন ম্যাডম্যান’) এর একটি অনুস্মারক যা গান, হাস্যরসের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্ম শেখানোর অপ্রচলিত উপায়ের জন্য পরিচিত।এছাড়াও বিশেষ রীতিনীতি হল সজ্জিত দেয়াল, খোদাই করা ঘরের ছাদের মঠে দশ ইঞ্চি কাঠের “ফ্যালাস” দেখতে পাবেন যা তীর্থযাত্রীদের মাথায় টোকা দিয়ে আশীর্বাদ করতে ব্যবহৃত হয়।দোচুলা পাস: এই সুন্দর স্মারকটি ২০০৩ সালের সামরিক অভিযানে শহীদ হওয়া ১০৮ ভুটানি সৈন্যদের স্মরণে তৈরি করা হয়েছিল। দোচুলা পাসে তিনটি কেন্দ্রীভূত বৃত্তে সাজানো ১০৮টি স্তূপ (স্মৃতিস্তম্ভ) রয়েছে.)। এরই সঙ্গে আবহাওয়া ভালো থাকলে হিমালয়ের অবিশ্বাস্য ৩৬০-ডিগ্রি প্যানোরামিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।হিমালয় তুষার ঝলমলে দেখতে, পাহাড়ের ধারে ফুটে থাকা সুন্দর রডোডেনড্রন এবং ম্যাগনোলিয়াস মন ভরিয়ে দেবে।থিম্পু: ১৯৬১ সাল থেকে ভুটানের রাজধানী এই থিম্পু। ট্রাফিক লাইট ছাড়া একমাত্র বিশ্ব রাজধানীও বটে! ভাজা ফার্ন একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে ইম্পোজিং ডিজং (দুর্গ-মঠ), কিংস মেমোরিয়াল চর্টেন, বৌদ্ধ চিত্রকলা স্কুল, জাতীয় লোক ঐতিহ্য যাদুঘর এবং একটি ১৫০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী খামারের আবাস। ভুটানি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস কাছ থেকে পরখ পড়ে দেখবার অনন্য সুযোগ এখানে।বুমথাং উপত্যকা: অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশিষ্ট এটি একটি গ্রাম। রয়েছে শম্ভু আকৃতির বনভূমি। রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী একটি মাঠ, ভেতরে গেলেই মনে আসে অনন্য শান্তি। বুমথাং উপত্যকা হল ভুটানের সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি। ভাগ্য ভাল হলে বনে বিরল-দৃষ্টিসম্পন্ন ভাল্লুক চাক্ষুস হতে পারে।
