উত্তর ২৪ পরগনা: লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই আবারও জেলার এই বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষজনের হাতে লাগবে ভোটের কালির দাগ। আবারও ভোট দিতে হবে তাদের। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বাগদা বিধানসভার বিধায়ক পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। ফলে ১০ই জুলাই বাগদা বিধানসভায় উপনির্বাচ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই বাগদা কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। পরবর্তীতে দল বদলে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রে তাকেই প্রার্থী করেছিল জোড়া ফুল শিবির। ভোটে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হন বিশ্বজিৎ। তাই এবার সেই বাগদা বিধানসভায় উপনির্বাচন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
তবে তীব্র গরমের মাঝেই এভাবে আবারও নির্বাচন ঘোষণা করায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাগদার মানুষজন। এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ভোটের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ভাবা উচিত ছিল বলেও মনে করছেন অনেকে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাগদা বিধানসভায় মোট ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৬৪ জন। বর্তমান বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বাগদা বিধানসভায় ৩ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে কাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দানে নামায়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। তবে বিধায়ক পথ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিশ্বজিৎ দাস বাগদা বিধানসভা এলাকায় ভালই উন্নয়নের কাজ করেছেন বলেই জানালেন তৃণমূল সমর্থকরা।