লাইফস্টাইল Calcium: গ্লাস গ্লাস দুধ ছাড়ুন…! ক্যালসিয়ামের গুপ্তখনি এই ‘৪’ খাবার! হাড় হবে ‘ইস্পাত কঠিন’! ভরে ভরে দেবে শক্তি Gallery August 19, 2024 Bangla Digital Desk আমরা সবাই জানি যে দুধ একটি সম্পূর্ণ খাবার যাতে রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি, তাই ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাবা-মা আমাদেরকে দুধ পান করার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। দুধ হল সেই প্রাকৃতিক পানীয় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এতে থাকা ক্যালসিয়ামের ফলে হাড় মজবুত হয় এবং একই সঙ্গে আমরা অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাই। তবে সবাই দুধ পান করতে পছন্দ করেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন মেটাবে কে? কী ভাবে মিটবে ক্যালসিয়াম ঘাটতি? এই প্রশ্ন থেকেই যায়। উত্তর দিলেন, ডায়েটিশিয়ান আয়ুশি যাদ। তিনি তাঁর পরামর্শে বলেন, “আদতে ক্যালসিয়ামের পুষ্টি পেতে কিন্তু গ্লাসের পর ঘাস দুধ পান করার প্রয়োজন নেই। আরও অনেক কিছু খেলেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটা একটা মিথ যে শুধু দুধেই মেটে ক্যালসিয়াম ঘাটতি।” দুধ ছাড়া ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস:১. কমলাকমলা খুব সাধারণ একটি খাবার, যা সাধারণত ভিটামিন সি পেতে খাওয়া হয়। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। তবে জানলে অবাক হবেন ক্যালসিয়ামের খনি এই ফলটি। এই ফলের রস পান করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না। ২. ওটসওটস একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার যা আমরা সাধারণত সকালের জলখাবারে খেয়ে থাকি। জানেন কী এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা শরীরকে শক্তিশালী করে ব্যাপক ভাবে। এটি নিয়মিত খেলে কিন্তু আর দুধ না খাওয়ার জন্য আপনি আফসোস করবেন না। ৩. রোদ:আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে ভিটামিন ডি পেতে আপনার নিজেকে বেশি বেশি করে সূর্যের আলোতে প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু এ খবর অনেকেই জানেন না যে বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম সূর্যের আলোর মাধ্যমেও পাওয়া যেতে পারে। ৪. সবুজ শাক:সবুজ শাক সবসময়ই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়েছে, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির পাশাপাশি ক্যালসিয়ামও পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পালং শাক এবং শালগম পাতা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।