গ্রিনের সঙ্গে রিচার্ডসন এবং অভিজ্ঞ পীযুষ চাওলা শক্তি বাড়াবে মুম্বইয়ের, নিশ্চিত কোচ বাউচার

#কোচি: সাধারণত আইপিএলর ইতিহাসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এমন ব্যর্থ হতে পারে সেটা প্রমাণ করেছিল গত বছর। অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু ছিল ২০.৫৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট ছিল ৯ (৬ ভারতীয়, ৩ বিদেশি)। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ফ্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু শেষ টুর্নামেন্টে তারাই ছিল সবার শেষে। আগের গৌরব ফিরে পেতে তাদের যে প্রচুর খাটতে হত বলাই বাহুল্য।

পোলার্ডের অবসরের পর একজন বিদেশি অলরাউন্ডার খুঁজে বের করাই অগ্রাধিকার ছিল। জসপ্রীত বুমরাহ এবং জোফ্রা আর্চারের ফিটনেস নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তবে আরসিবি থেকে জেসন বেহরেনডর্ফকে সই করানোটা তাদের বড় বাজি। মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা নখদন্তহীন স্পিন বোলিং। কুমার কার্তিকেও প্রতিভাবান হলেও এত বড় আইপিএলে তার একার উপরে ভরসা করলে হত না।

লেগ স্পিনার হিসেবে মুম্বই দলে নিয়েছে পীযুষ চাওলাকে। ঈশান কিষান ছাড়া একমাত্র ব্যাক আপ উইকেট রক্ষক ছিল ট্রিসটান স্তাবস। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার পেসার ঝাই রিচার্ডনকে নিয়েছে মুম্বই। ১৭;৫০ কোটিতে ক্যামেরন গ্রিন দলটার সম্পদ হতে চলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার তরুন অলরাউন্ডার দুয়ান ইয়ানসেন ভারসাম্য বাড়িয়েছে, মুম্বই দলের।

কোচ মার্ক বাউচার মনে করেন যেহেতু এবার ওয়াংখেরের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন মাঠে হবে খেলা, সেই অনুযায়ী ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে বিষ্ণু বিনোদ, শামস মুলানি এবং নেহাল ওয়াধেরার ওপর নজর রাখতেই হবে। আর্চের, বুমরাহ তো আছেনই। রোহিত শর্মা এই মুহূর্তে হাতের চোট থাকলেও মার্চে শুরু হতে চলা আইপিএলের আগে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে গতবারের ব্যর্থতা মুছে দিতে মরিয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।