লম্বা ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

Cancer Study: লম্বা ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সামনে এল চমকে দেওয়া সমীক্ষা

মারণরোগ ক্যানসার। যার কোনও ওষুধ নেই। এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই উচ্চতা এবং ক্যানসার কোষের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেলেন গবেষকরা।
মারণরোগ ক্যানসার। যার কোনও ওষুধ নেই। এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। এর মধ্যেই উচ্চতা এবং ক্যানসার কোষের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেলেন গবেষকরা।
ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ড ইন্টারন্যাশনালের সমীক্ষা অনুযায়ী, লম্বা ব্যক্তিদের অগ্ন্যাশয়, অন্ত্র, জরায়ু, ডিম্বাশয়, প্রোস্টেট, কিডনি, ত্বক এবং স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ড ইন্টারন্যাশনালের সমীক্ষা অনুযায়ী, লম্বা ব্যক্তিদের অগ্ন্যাশয়, অন্ত্র, জরায়ু, ডিম্বাশয়, প্রোস্টেট, কিডনি, ত্বক এবং স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
এর পিছনে দুটি তত্ত্ব রয়েছে। প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী, লম্বা ব্যক্তিদের শরীরে কোষ বেশি থাকে। ফলে কোষ বিভাজনের সময় জেনেটিক ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
এর পিছনে দু’টি তত্ত্ব রয়েছে। প্রথম তত্ত্ব অনুযায়ী, লম্বা ব্যক্তিদের শরীরে কোষ বেশি থাকে। ফলে কোষ বিভাজনের সময় জেনেটিক ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
দ্বিতীয় তত্ত্বটি হল, আইজিএফ (ইনসুলিনের মতো গ্রোথ ফ্যাক্টর) ১-এর মাত্রা লম্বা ব্যক্তিদের স্তন বা প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। জনস হপকিন্স মেডিসিনের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমডি জেরার্ড মুলিন এই বিষয়ে একমত।
দ্বিতীয় তত্ত্বটি হল, আইজিএফ (ইনসুলিনের মতো গ্রোথ ফ্যাক্টর) ১-এর মাত্রা লম্বা ব্যক্তিদের স্তন বা প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। জনস হপকিন্স মেডিসিনের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এমডি জেরার্ড মুলিন এই বিষয়ে একমত।
জেরার্ড বলছেন, “এত বড় সমীক্ষা এর আগে হয়নি। এ থেকে প্রমাণ লম্বা ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোলারেক্টল এবং অন্যান্য ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের সময় এই বিষয়টাও মাথায় রাখা উচিত।’’
জেরার্ড বলছেন, “এত বড় সমীক্ষা এর আগে হয়নি। এ থেকে প্রমাণ  হয় লম্বা ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোলারেক্টল এবং অন্যান্য ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের সময় এই বিষয়টাও মাথায় রাখা উচিত।’’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কম উচ্চতার ব্যক্তিদের তুলনায় লম্বা ব্যক্তিদের কোলারেক্টল ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ২৪ শতাংশ বেশি। উচ্চতায় প্রতি ১০ সেমি (৪ ইঞ্চি) বৃদ্ধি মানে কোলারেক্টল এবং অ্যাডেনোমাসের ঝুঁকি ১৪ ও ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।’’
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কম উচ্চতার ব্যক্তিদের তুলনায় লম্বা ব্যক্তিদের কোলারেক্টল ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা ২৪ শতাংশ বেশি। উচ্চতায় প্রতি ১০ সেমি (৪ ইঞ্চি) বৃদ্ধি মানে কোলারেক্টল এবং অ্যাডেনোমাসের ঝুঁকি ১৪ ও ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।’’
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কী কী করা উচিত: চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। প্রতিদিনের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য সহ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। রাশ টানতে হবে রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কী কী করা উচিত: চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। প্রতিদিনের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য -সহ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। রাশ টানতে হবে রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে।
প্রতিদিন নিয়ম করে ২০ মিনিট হাঁটা উচিত। এর সঙ্গে ব্যায়াম। শরীর সুস্থ রাখতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ জরুরি। ধূমপান, মদ্যপানের মতো ক্যানসার সৃষ্টিকারী পণ্য এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রতিদিন নিয়ম করে ২০ মিনিট হাঁটা উচিত। এর সঙ্গে ব্যায়াম। শরীর সুস্থ রাখতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ জরুরি। ধূমপান, মদ্যপানের মতো ক্যানসার সৃষ্টিকারী পণ্য এড়িয়ে চলতে হবে।
ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। ত্বককে অতিরিক্ত সূর্যের এক্সপোজার থেকে রক্ষা করতে হবে।স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্থূল ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ইউভি রশ্মির সংস্পর্শে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। ত্বককে অতিরিক্ত সূর্যের এক্সপোজার থেকে রক্ষা করতে হবে।স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্থূল ব্যক্তিদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ করানো জরুরি। তাবেই প্রাথমিক পর্যায়ে মারণ রোগের শনাক্তকরণ করা যাবে। সার্ভিক্যাল, স্তন এবং কোলারেক্টল ক্যানসারের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং টিকা অপরিহার্য। ( Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ করানো জরুরি। তাবেই প্রাথমিক পর্যায়ে মারণ রোগের শনাক্তকরণ করা যাবে। সার্ভিক্যাল, স্তন এবং কোলারেক্টল ক্যানসারের জন্য  নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং টিকা অপরিহার্য। ( Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)