মাঝখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় , বাম দিকে কল্যাণ পাল ও ডান দিকে কল্যাণ সামন্ত 

Lok Sabha Election 2024: এক কল্যাণে রক্ষে নেই, সঙ্গে আরও দুই! শ্রীরামপুর লোকসভায় ৩ কল্যাণের লড়াই

হুগলি: একা কল্যাণে রক্ষে নেই সঙ্গে আরও দুই। তবে লোকে বলছে আসলে রক্ষে পাওয়ার জন্যই অতিরিক্ত দুই। এই অতিরিক্তরা অতি-রিক্ত করবে নাকি ভরিয়ে দেবে তাই নিয়েই অন্তহীন চর্চা শ্রীরামপুরের মাঠে ঘাটে। আসলে কথা হচ্ছে শ্রীরামপুরের লোকসভা নির্বাচনের। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাজির আরওদুই কল্যাণ।

তবে কেউই বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। একজন চাপদানীর বাসিন্দা কল্যাণ সামন্ত অন্যজন ডোমজুরের বাসিন্দা কল্যাণ পাল। রাজনীতিক মহল বলছে, নামের ভ্রান্তি বিলাস তৈরি করে বিরোধী প্রার্থীকে বেগ দাওয়া একটি পুরানো রাজনীতিক কৌশল। এ ক্ষেত্রে ও দুই বাড়তি প্রার্থীর হাজিরা কাকতালীয় নয় বরং নিখাদ কৌশল। তৃণমূলের দাবি এই কৌশল করেছে বিজেপি। যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ট নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির মতো ওই কৌশল ও পুরানো হয়ে গিয়েছে। এখন ইভিএম-এ প্রার্থীর ছবি থাকে তাই বিজেপির পর ফাঁদে মানুষ পা দেবেন না।

আরও পড়ুনঃ একই কেন্দ্রের ৩ প্রার্থীই প্রতিমা! কোন চিহ্নে ভোট দেবে গ্রাম? জয়নগরে জবরদস্ত লড়াই

ভ্রান্তি বিলাসে বিজেপির কোনো কল্যাণ হবে না। কৌশল একটা আছে মানছেন বিজেপি শ্রীরামপুরে জেলা সভাপতি মোহন আদক। তিনি বলেন, ভোটের কৌশল নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করব না। ভোট লড়ার অধিকার সবার আছে। তবে দুই নির্দল কল্যাণের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।যদিও ডোমজুর এবং চাপদানির বাসিন্দারা বলছেন দুই কল্যাণ সামন্ত ও পাল দুই জনেই বিজেপির লোক।

শুধু দাবি নয় ভরপুর যুক্তি ও আছে। কল্যাণ সামন্ত শ্রীরামপুর লোকসভার চাঁপদানির বাসিন্দা। মধ্যবয়সী সামন্তবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনে চাঁপদানির বিজেপির প্রার্থী কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল নেতাদের তত্ত্বাবধানেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কল্যাণবাবু বলেন, আমি ওঁনাদের (বিজেপি নেতা) বলেছিলাম লোকসভা ভোটে লড়ার টাকা আমার নেই। তারপরে অবশ্য আমি নিজেই প্রার্থী হয়েছি। বিজেপি নেতৃত্ব নানাভাবে সাহায্য করেছেন।

হাওড়ার ডোমজুড়ের তেঁতুলকুলির বাসিন্দা কল্যাণ পাল, তিনি পেশায় গাড়ি চালক। গাড়ি চালকদের একটি এজেন্সিও চালান। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সলপ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেই প্রার্থী হয়েছি। আমার উপরে অত্যাচার হয়েছে, তাই প্রতিবাদ করছি। বিজেপি থাকুক বা না থাকুক ২০ মে পর্যন্ত কল্যাণরা থাকছে। তাতে কার কল্যাণ বা অকল্যাণ হয় তার উত্তর আসবে ৪ তারিখে।

রাহী হালদার