গাড়ি কিনছেন? জানেন কোন তথ্য কোম্পানি লুকিয়ে রাখে? জেনে নিন

কলকাতা– গাড়ি কেনার সময় অনেক জিনিস মাথায় রাখতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ সময় কোম্পানিগুলো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেপে যায়। গ্রাহকদের জানায় না। যা গাড়ির আয়ু, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এবং পুনরায় বিক্রি করার সময় দামের উপর প্রভাব ফেলে। সেই বিষয়গুলিই গ্রাহকের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।

ফুয়েল এফিসিয়েন্সির রিয়েল ওয়ার্ল্ড ডেটা: গাড়ি কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপনে প্রায়শই ঢাকঢোল পিটিয়ে লম্বা মাইলেজের কথা জানায়। আদর্শ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই তা দেওয়া হয়। আদতে ট্র্যাফিক, রাস্তার অবস্থা, চালকের দক্ষতা ইত্যাদির উপর মাইলেজ নির্ভর করে। তাই বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যখন বাস্তব মেলে না, তখন গ্রাহক হতাশ হন।

আরও পড়ুন- সুরক্ষিত রাখুন আধার কার্ড! অপব্যবহার হচ্ছে কি না, অনলাইনে চেক করুন ‘এভাবে’

রক্ষণাবেক্ষণ খরচ: গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গ্রাহকদের জানায় না কোম্পানি। তারা শুধু ওয়্যারেন্টি এবং বিনামূল্যে পরিষেবার কথাই বলে। কিন্তু বাস্তবে গাড়ির কিছু কিছু যন্ত্রাংশ মেরামত বা পাল্টাতে অনেক বেশি খরচ হয়। গ্রাহকরা শুরুতে এই বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। পরে ভুগতে হয়।

সার্ভিংস এবং খুচরো যন্ত্রাংশ: অধিকাংশ সময়েই গাড়ির খুচরো যন্ত্রাংশ খুব সহজে মেলে না। কিছু মডেলের খুচরো যন্ত্রাংশ তো রীতিমতো ব্যয়বহুল। কখনও সখনও দুষ্প্রাপ্যও বটে। ফলে সার্ভিসিংয়ের জন্য বেশি টাকা দিতে হয়। সময়ও লাগে।

সেফটি ফিচারের বাস্তব গুরুত্ব: গাড়ি নির্মাণ সংস্থাগুলি সেফটি ফিচারের বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তু কোনটা সত্যিই যাত্রীদের নিরাপত্তা দেবে আর কোনটা শুধুই বিপণনের উদ্দেশ্যে সেটা বলে না। যেমন অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম এবং এয়ার ব্যাগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়্যারেন্টি: ওয়্যারেন্টি নিয়েও অনেক কথা বলে কোম্পানিগুলি। কিন্তু ওয়্যারেন্টিতে কী কী মিলবে সেটা স্পষ্ট করে বলে না। অনেক যন্ত্রাংশ এবং সার্ভিসিংই ওয়্যারেন্টির আওতায় আসে না। গ্রাহকরা সেটা বুঝতে পারেন না। ফলে অতিরিক্ত খরচ হয়।

পুনরায় বিক্রি করার সময় দাম: কিছু কিছু মডেলের গাড়ি সেকেন্ড হ্যান্ড বিক্রির সময় অন্যান্য মডেলের তুলনায় কম দাম মিলতে পারে। গ্রাহকরা যে গাড়ি কিনছেন ভবিষ্যতে তা বিক্রি করতে চাইলে কত দাম মিলতে পারে সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

অন রোড দামে লুকনো চার্জ: কোম্পানিগুলো শুধু এক্স শোরুম প্রাইস বলে দেয়। অন রোড কত দাম পড়বে জানায় না। এর মধ্যে রোড ট্যাক্স, বিমা এবং অন্যান্য লজিস্টিক চার্জ থাকে। যার ফলে গাড়ির দাম বেড়ে যায়।