দেশের অনেক জায়গাতেই কলার দামও দ্বিগুণ বেড়েছে

Carbide in Fruits: পুজোয় ‘কার্বাইডে পাকানো কলা’ দিচ্ছেন না তো? এই বিশেষ চিহ্ন দেখে চিনুন ‘রাসায়নিক বিষমুক্ত ফল’

দেশব্যাপী শুরু হয়ে গিয়েছে শারদ নবরাত্রি। চলছে উপবাস, নিরামিষভোজন, সংযম, ব্রতর পালা। কলকাতাতেও আর কয়েক দিন পরেই বেজে উঠবে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় অকালবোধনের ঢাক। এই শহরও তখন শুদ্ধ চিত্তে পালন করবে শারদীয়া তিথি। এই সময়ে সবারই ঘরে ফলাহারের গুরুত্ব বাড়বে। পুজোয় নিবেদন করা দেবীকেও। অন্য ফলের দাম আকাশছোঁয়া বলে সাধারণত কলার দিকে আমাদের সবারই চোখ থাকে। তবে, এখন দেশের অনেক জায়গাতেই কলার দামও দ্বিগুণ বেড়েছে। আশঙ্কার কারণ যদিও অন্যত্র, বিপুল চাহিদা মেটাতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলায়।

মধ্যপ্রদেশের খরগোনের ফল ব্যবসায়ী দীপক ভার্মা এই প্রসঙ্গে লোকাল 18-কে জানান, গাছ থেকে কাটার পর কলা পুরোপুরি পাকতে প্রায় ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগে। এই সময় কলাকে কোনও প্রকার রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয় না, বরং প্রাকৃতিকভাবে পাকতে দেওয়া হয়। এর জন্য প্রথমে কলা কেটে পরিষ্কার জলে ধুয়ে তারপর কাগজে মুড়ে তিন-চার দিন পরিষ্কার জায়গায় রাখা হয়। এরপর গোডাউন থেকে বের করে এসি ঘরে রাখা হয়। এসির ঠান্ডার কারণে কলার রঙ ধীরে ধীরে সবুজ থেকে হলুদ হয়ে যায় এবং কলা পেকে যায়।

তিনি আরও জানান যে কিছু ব্যবসায়ী কলার মধ্যে মিথেন গ্যাসের (কার্বনেট) বান্ডিল রাখেন। এটি কলার শক্ত ভাব দূর করে এবং আর্দ্রতা যোগ করে। ফলে কলা দ্রুত পাকে। তবে, দীপক বলেছেন যে এই পদ্ধতিটি স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ, কারণ এতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না।

আরও পড়ুন : Pasteurized Milk মানে কী? কেন এই বিশেষ দুধ খাবেন? এই বিশেষ দুধ খেলে কী হয়? জানুন বিশদে

তবে, আজকাল রাসায়নিক দিয়ে যে কলা পাকানো হয়েছে, তা চেনা যাবে কী করে? আরেক ব্যবসায়ী হিমাংশু ভার্মা বলছেন, রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা চেনা সহজ। কলার গুচ্ছ হালকাভাবে নাড়ালে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা নিজে থেকেই ভাঙতে শুরু করবে। প্রাকৃতিকভাবে পাকা কলা নাড়াচাড়া করলে তা সহজে ভেঙে যায় না। তবে কলা খুব বেশি পেকে গেলেও ভেঙে যেতে পারে। ফলে, এরকম হলে সেই কলা না কেনাই উচিত হবে।