পুণে: ডিউটির সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে বিমান ওড়াতে অস্বীকার করলেন বিমানচালক। ফলে পুণে থেকে বেঙ্গালুরুগামী এক ইন্ডিগো উড়ান ৫ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। যার জেরে যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল।
পুণে থেকে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে রওনা হওয়ার কথা ছিল উড়ানটির। কিন্তু সেটি রওনা হয়েছিল ভোর ৫টা ৪৪ মিনিটে। এরপর ভোর ৬টা ৪৯ মিনিট নাগাদ উড়ানটি বেঙ্গালুরুর মাটি স্পর্শ করেছিল।
Indigo flight was delayed for 5 hrs after Pilot refuses to take off due to work hrs ending.
Frustration pf Passengers can clearly be seen. But Why blame only the Pilot ??
Blame the company not the crew. Indigo has become a joke😤 pic.twitter.com/0ohOOTi3RG
— Avishek Goyal (@AG_knocks) October 2, 2024
আরও পড়ুন: সন্তানের পড়াশোনায় মন নেই? মা-বাবারা মাথায় রাখুন ৬টা টিপস, বাচ্চা নিজেই বই নিয়ে বসবে
এক্স ব্যবহারকারী অভিষেক গোয়েল উড়ানের অন্দরের ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় বিমানচালক বিমান ওড়াতে রাজি ছিলেন না। যার জেরে ইন্ডিগো উড়ানটির দেরি হয়েছে ৫ ঘণ্টা।”
তিনি আরও লেখেন, “এই ভিডিও-তে যাত্রীদের হতাশা-ক্ষোভ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিমানচালককে দোষ দিয়ে লাভ কী? এই দায় চাপানো উচিত কোম্পানির উপর। কর্মীদের উপর নয়। ইন্ডিগো তো এখন একটা তামাশা হয়ে উঠেছে।”
ভিডিও-র শুরুতে দেখা গিয়েছে, এক বিমানকর্মী নিজের সহকর্মীর কাছে অনুরোধ করছেন বিমানচালককে কল করার জন্য। ভিডিও-য় এরপর দেখা যাচ্ছিল, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের হইচই।
এদিকে বিমানচালককে ককপিটে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিতে দেখে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলেন, “আমার মনে হয়, আপনার আরও পরিণত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।” আবার আর এক এক্স ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন যে, “বিমানের মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য কোনও রকম রিফ্রেশমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকী কোনও ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি।”
যাত্রী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ইন্ডিগোর প্রতি ক্ষোভ দেখে বর্ষীয়ান পরিবহণ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় লাজার ব্যাখ্যা করেন যে, সারা বিশ্বেই যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিমানচালক এবং বিমানকর্মীদের কাজের সময়টা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।
তাঁর কথায়, “এটা তো আর কারখানার শ্রমিকদের মতো নয়। বিমানচালকদের ডিউটির সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। এতে ডিজিসিএ থেকে তাঁরা শাস্তি পাবেন।”
সঞ্জয় লাজার জোর দিয়ে বলেন, “তাই বিমানের নিরাপত্তার জন্য বিমানচালক জানেন, তিনি কী করছেন। তাঁকে তাঁর মতোই থাকতে দিন। তাঁর জন্য দেরিটা হয়নি।”
এদিকে ইন্ডিগো উড়ানের বিলম্বের বিষয়টা স্বীকার করে নিয়েছে ইন্ডিগো। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ৫ ঘণ্টা দেরির জন্য ফ্লাইট ডিউটি লিমিটেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত এই অপারেশনাল কারণ। এই অসুবিধার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ইন্ডিগো।