সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে ১১ সদস্যের জোড়া তদন্ত কমিটি! হাসপাতালের অন্দরে কী করতেন তিনি?

CBI: ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের, আরজিকরে মিলবে নতুন কোনও সূত্র?

কলকাতা: আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ফের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে পৌঁছল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। রবিবার,
সিবিআইয়ের একটি দল সুদীপ্ত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁর সিঁথির বাড়িতে এসে পৌঁছয়। এর আগেও সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে এসেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, তৃণমূল বিধায়কের কললিস্ট-সহ একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটে বেশ কিছু সন্দেহজনক দিক রয়েছে। সেগুলিই খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত, IMA রাজ্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না শান্তনু

আরজি কর-কাণ্ডে এর আগেও তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। গত ১২ সেপ্টেম্বর, দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অপরাধদমন শাখার তদন্তকারী আধিকারিকেরা সুদীপ্তের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে হাজির হন। হানা দেওয়া হয় বিধায়কের মালিকানাধীন বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও । প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও ছিলেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি।

আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে সিবিআই-এর দল আরজি কর-এ, কোন রোমহর্ষক তথ্য সামনে আসছে?

সে দিন, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সুদীপ্তের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা বেরোনোর পর সাংবাদিক বৈঠক করেন সুদীপ্ত।

সেখানে তিনি জানান, হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চলছে। তাই তিনি তদন্তকারীদের সব রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি কর হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, সুদীপ্ত নিজের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “১৯৮৪ সালে আমি নার্সিংহোম তৈরি করি। বাম আমলে তিলে তিলে এটাকে দাঁড় করিয়েছি। যে কেউ আমার নার্সিংহোমে গিয়ে যাচাই করতে পারেন, আমি এমন কিছু কাজ করেছি কি না।”

গত ১২ সেপ্টেম্বর যখন দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দেন, তখন নিজের বাড়িরই নীচের তলার অফিসঘরে ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ছিলেন সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে । তদন্তকারীদের একটি দল নার্সিংহোমটিতেও তল্লাশি অভিযান চালায়। ওইদিন সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিন জন সিবিআই আধিকারিক। গোটা বাড়ি ঘিরে রাখেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।

প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চারতলায় সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সে রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ওই দিনই আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুদীপ্ত। এরপর থেকেই সিবিআই রাডারে চলে আসেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।