সন্দীপকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

CBI-RG Kar Case Sandip Ghosh: কোনও ‘ঝুঁকি’ নয়, থাপ্পড়ের পরই সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই! কী ঘটল জানেন?

কলকাতা: সোমবার সন্ধ্যায় আরজি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধষর্ণ ও খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভের পারদ বাড়ছে, রাগে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। সেই সূত্রে মঙ্গলবার সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বরে সপাটে চড় মারেন এক বিক্ষোভকারী। খুব স্বাভাবিক কারণেই সন্দীপের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয় সিবিআই। আর সেই সূত্রেই সন্দীপ ঘোষ সহ গ্রেফতার হওয়া আরও ৩ জনের মেডিক্যাল পরীক্ষা হল নিজাম প্যালেসেই। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

বুধবার ৩ চিকিৎসকের দল আসেন নিজাম প্যালেসে। দীর্ঘ সময় ধরে মেডিক্যাল পরীক্ষা চলে গ্রেফতার হওয়া চার জনের। শেষে সন্ধ্যে নাগাদ বেরিয়ে যান চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরা করে সন্দীপকে। সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে সিবিআই আধিকারিকেরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তার পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হয়েও ‘ভাঙছেন’ না সন্দীপ ঘোষ, এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ! চমকে দিয়ে দুই ‘বড়’ দাবি

হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার দুর্নীতি থেকে সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও রয়েছে তার মধ্যে। অভিযোগ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বেশির ভাগ ‘অনিয়ম’ই হয়েছে সন্দীপ অধ্যক্ষ থাকাকালীন। গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। এই আবহে আরজি করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও উঠতে শুরু করে। তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে তাঁর ইস্তফার দাবি তোলেন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তারেরা।

আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য গত ১৬ অগস্ট সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। সেই সিটের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। এই আবহে মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এফআইআর করা হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে। অবশেষে গ্রেফতার হলেন সন্দীপ ঘোষ এবং তার আরও ৩ সহযোগী।