হিন্দু নববর্ষও শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি থেকে। এতে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো করা হয়। এই বছর চৈত্র নবরাত্রি ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং ১৭ এপ্রিল শেষ হবে।
নবরাত্রির সময় আপনি যদি কিছু বাস্তুর নিয়ম মেনে চলেন তবে আপনার বাড়িতে সর্বদা সুখ বজায় থাকবে। জেনে নিন কোন বাস্তু প্রতিকার চৈত্র নবরাত্রির সময় করা উচিত।
নবরাত্রি শুরু হওয়ার আগে আপনার ঘর পরিষ্কার করে নিন। এবং পুরনো জামাকাপড়, বই, আসবাবপত্র সব ঠিকঠাক করে গুছিয়ে রাখুন৷ মূল দরজায় একগুচ্ছ আম পাতা রাখুন, এতে ঘরে সমৃদ্ধি, উন্নতি ও সুখ আসে। আমের পাতাগুলি দেবী লক্ষ্মীর সাথে যুক্ত, সুস্বাস্থ্য এবং সম্পদের আমন্ত্রণ জানায়।
নবরাত্রির দিন প্রধান দরজায় বাস্তু মেনে এই কাজ করলে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে৷ চালের সঙ্গে লাল বা হলুদ রঙ ব্যবহার করে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করুন। এই নবরাত্রির সময় প্রধান দরজায় একটি স্বস্তিক আঁকা অত্যন্ত শুভ এবং বাড়িতে বসবাসকারী লোকেদের জন্য সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি আকর্ষণ করে। এই জাতীয় প্রতীকগুলির নেতিবাচক শক্তি দূর করার ক্ষমতা রয়েছে।
পুজোর জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বিশৃঙ্খলামুক্ত রাখুন। ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে দেবী দুর্গার মূর্তি রাখুন। মূর্তিগুলিকে সর্বদা একটি উঁচু জায়গায় যেমন একটি কাঠের চৌকি, কমপক্ষে পাঁচ ফুট উঁচুতে রাখতে ভুলবেন না। পুজোর সামগ্রী দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখুন, এতে দেবীর আশীর্বাদ বজায় থাকে।
নবরাত্রি পুজোর প্রার্থনা করার সময় পূর্ব ও উত্তর দিকে মুখ করা উচিত। এটি সাফল্য এবং সাহস আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। নবরাত্রির প্রথম দিনে মন্দিরে পরিষ্কার জল এবং ফুলে ভরা একটি কলশি রাখুন। উৎসবের শেষ দিনে সারা বাড়িতে পবিত্র জল ছিটিয়ে দিন, যা ব্যক্তির আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করে। কলশি যোগাযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং সম্প্রীতি বাড়ায়। ইতিবাচক প্রভাবের জন্য আপনি রান্নাঘরেও একটি কলশি রাখতে পারেন। বাস্তু মতে মন্দিরে ঘিয়ের প্রদীপ রাখতে হবে। এটি সৌভাগ্য এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
আপনি যদি চৈত্র নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে অখন্ড জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করেন, তাহলে আপনার জীবনে সর্বদা সুখ বজায় থাকবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, অবারিত শিখা আপনার সমৃদ্ধির প্রতীক এবং আপনার ভবিষ্যতের জন্য শুভ সূচনা করে। অখন্ড জ্যোতি কলশির ডান পাশে রাখতে হবে। অখন্ড জ্যোতি সর্বদা পূজার স্থানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখতে হবে।
Post navigation
Just another WordPress site