চন্দননগর সরকারি হাসপাতাল

Hooghly News: পরিকাঠামোর অভাবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হল জটিল অস্ত্রোপচার! নজির গড়ল এই হাসপাতাল

হুগলি: বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যখন পরিকাঠামোগত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, ঠিক তখনই চন্দননগর হাসপাতাল করে দেখাল এক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। উন্নত পরিকাঠামোর অভাব থাকার সত্ত্বেও হাসপাতালে হল জটিল অস্ত্রোপচার। ভদ্রেশ্বরের এক প্রৌঢ়া ছ’বছর ধরে শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন বৃহৎ আকারের টিউমার। সরকারি হাসপাতালে হল জটিল অস্ত্রোপচার। পরিকাঠামোর অভাবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সফল অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রৌঢ়া।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রেশ্বর বিঘাটির গৌরাঙ্গপুরের বাসিন্দা রীতা রায়ের ডান বাহুমূলের নিম্নাংশে একটি টিউমার ধরা পরে। একাধিক চিকিৎসককে দেখান তিনি। প্রত্যেকেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। প্রতিবন্ধী ছেলে বাড়িতে। বড় হাসপাতালে ভর্তি হতে সমস্যা। পারিবারিক অস্বচ্ছলতা থাকায় অস্ত্রোপচার করাতে পারছিলেন না। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করাতে থাকেন। এভাবে কেটে যায় ছ’বছর। মাস খানেক আগে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে সার্জেন আত্মদীপ বিশ্বাসকে দেখান। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান এখনই অস্ত্রোপচার না করলে টিউমার থেকে ক্যানসার হয়ে যেতে পারে। বড় কোনও মেডিক্যাল কলেজে  অস্ত্রোপচার করানোর পরামর্শ দেন। প্রৌঢ়া চন্দননগর হাসপাতালেই অস্ত্রোপচার করতে চান। ইউএসজি এমআরআই করার পর হাসপাতাল অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয়।

গত সপ্তাহে ভর্তি হন প্রৌঢ়া। সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতাল সুপার সন্তু ঘোষ জানিয়েছেন পাঁচশ গ্রাম ওজনের এক স্কোয়ার ফুট ব্যাসার্ধের টিউমার কেটে বাদ দেওয়া হয়। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সুস্থ হলে তাকে ছুটি দেওয়া হয়। সুপার বলেন, “একটা মহকুমার সরকারী হাসপাতালে পরিকাঠামো এমন নেই যে এত বড় অপারেশনের ঝুঁকি নেওয়া যায়।হাসপাতালে আনাস্থিসিস্ট চিকিৎসকরা সব রকম চেষ্টা করেন। সফলও হন। তবে এত বড় অস্ত্রোপচার একটু ভাল সেট আপে করা উচিত।”

রাহী হালদার