কলকাতা: শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আচমকা পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ধরনায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান চিকিৎসকদের পাশাপাশি তিনিও বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন৷
প্রবল বৃষ্টিতে দিন -রাত রাস্তায় অবস্থানরত ডাক্তারদের জন্য তিনি প্রতিমুহূর্তে ভাবছেন বলে জানছেন, তিনিও ঘুমতো পারছেন না৷ তিনি চিকিৎসকদের জানান তিনি তাঁদের বড় দিদির মতো৷
তিনি আরও জানান এটাই তাঁর শেষ চেষ্টা৷ কিন্তু মমতার এই আশ্বাসের পরেও এদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা এই মুহূর্তে আন্দোলন তুলছেন না৷ তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সদর্থক ভাবছেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা চাইছেন৷
মমতার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। মমতা পৌঁছতেই উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান।
মমতা বলেন, ‘আমার নিরাপত্তাজনিত বারণ থাকা সত্ত্বেও নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। ছাত্র আন্দোলন থেকে আমি উঠে এসেছি। আপনারা যে ভাবে বসে আছেন, আমার কষ্ট হচ্ছে। রাতের পর রাত ঘুমোইনি। আপনারা রাস্তায় থাকলে আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়। আপনারা ধৈর্য্য ধরে আমার কথা শুনুন। এর পরে স্লোগান দিন। সেটা আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি ৫ মিনিট সময় নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা কাজে ফিরলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের দাবি নিয়ে আমি ভাবব। দোষী শাস্তি পাবে। সিবিআই দ্রুত তিলোত্তমার বিচার করুক। তিন মাসে ফাঁসি হোক। আমাকে একটু সময় দিন। আমি আপনাদের প্রতি অবিচার করব না। রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে তৈরি করা হবে। তাতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, পুলিশ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতি আমি ভেঙে দিলাম।’