কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন আন্দোলনের মধ্যেই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মুখ্য সচিব। সোমবার দুপুর ৩টেয় নবান্নে এই বৈঠক করবেন মনোজ পন্থ। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে কত সংখ্যক সিসিটিভি ইন্সটল হল? কত রেস্টরুমের কাজ হল? কত সংখ্যক টয়লেট করা এখনও বাকি? স্বাস্থ্য সচিব, পূর্ত দফতরের সচিব-সহ বেশ কয়েকটি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চ সরাতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী। অনশন মঞ্চ রাস্তার উপর না করে একপাশে সরানোর আবেদন জানান তিনি। তবে অনশন মঞ্চের স্থান পরিবর্তন নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এমনকি জনস্বার্থ মামলার অনুমতিও দিল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনমের মন্তব্য, ‘ডাক্তারদের যাবতীয় ইস্যু সুপ্রিম কোর্ট তদারকি করছে। হাইকোর্টের এই মুহূর্তে হাতে কিছু নেই। এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা তালিকার বাইরে রেখেছে হাইকোর্ট।’
৩৬ ঘন্টা অতিক্রম করল জুনিয়র ডাক্তারেদের অনশন। অনশন মঞ্চে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে লাগানো হলো সিসিটিভি। লাগানো হয়েছে দুটো টিভি, যেগুলিতে ২৪ ঘন্টা লাইভ স্ট্রিমিং-এর ব্যবস্থা থাকবে। যাতে অনশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, তার জন্য এই উদ্যোগ বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। বায়ো টয়লেট বসাতে চেয়ে শনিবার রাতেই লালবাজারে ইমেল করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকে কোনও জবাব আসেনি। অনশন কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও অনশন চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, অনশনের মাঝে দুর্বল হয়ে পড়লে শৌচাগার ব্যবহার করতে বেশি দূরে যাওয়া সম্ভব হবে না। সেই কারণে অনশনমঞ্চের কাছেই বায়ো টয়লেট প্রয়োজন, সেই মতো বায়ো টয়লেটও ইনস্টল করা হয়েছে।