লাইফস্টাইল Child Mental Health Care Tips: বাবা-মায়ের মুখে ‘এই’ কথাগুলি শুনলে সন্তানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে! বলার আগে ১০০ বার ভাবুন Gallery June 2, 2024 Bangla Digital Desk শিশুদের মনোজগৎটা সময়ের আগেই বদলে যাচ্ছে। আট থেকে বারো বছর বয়সিদের মধ্যেও স্ট্রেস, হতাশা, উদ্বেগ বাড়ছে। প্রভাব পড়ছে শিশুর আচরণে। সামলাবেন কী ভাবে? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (প্রতীকী ছবি) অনেক মা-বাবাই বলেন, কৈশোর আসার আগেই বাচ্চাদের রাগ-অভিমান, ইচ্ছে-আবদারের ধরন দেখলে অবাক লাগে। মনে হয় যেন টিনএজার! অনেক সময়ই আবদারের চোটে বিরক্ত হয়ে বা দুষ্টুমিতে রেগে গিয়ে বাবা-মায়েরা সন্তানদের বকাবকি করে বড্ড বেশি কিছু বলে ফেলেন। (প্রতীকী ছবি) তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লাইন হল, ‘তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না’। কিন্তু জানেন কি সন্তান হলেও তার সম্মান রয়েছে। কারও সামনে কখনওই কাউকে এই কথাগুলি বলা যায় না। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরাও ডিপ্রেশনে ভোগে। (প্রতীকী ছবি) বিশেষ করে সবচেয়ে কাছের মানুষ যাঁরা, যেমন– বাবা, মা, দিদা, দাদু, ঠাকুমা, ঠাকুর্দাদের মুখে এমন অপমানিত হলে তাদের মনের খুবই কষ্ট হয়। মনোবিদেরা মনে করেন, শৈশবের কোনও একটি ঘটনার অভিঘাত পরবর্তী জীবনের কার্যকলাপকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে। ফলে শৈশবে অর্থাৎ জীবনের প্রথম পর্যায় থেকেই তার মানসিক গঠন ও আচার আচরণকে একটি নির্দিষ্ট পথে চালিত করতে শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। (প্রতীকী ছবি) একটি শিশুর আচার আচরণ দেখে, তার মনোগঠনের প্রকৃতি বুঝতে চেষ্টা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা। শিশু মনস্তত্ত্বের প্রথম ধাপ হল তার আচার আচরণের মধ্যে দিয়ে শিশুটির মনোজগৎকে চেনার চেষ্টা করা। (প্রতীকী ছবি) মনে রাখা প্রয়োজন শৈশবেরও একটা নির্দিষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাকে অস্বীকার করে বড়রা যদি নিজেদের মন গড়া কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে যান তা হলে সেই জগতের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই ভাবনাচিন্তার জগতের যে স্তরগুলি রয়েছে তার দিকে নজর না দিলে তার বিকাশের পথ ও অভিমুখটিকে সম্পূর্ণ ভাবে চেনা যায় না। (প্রতীকী ছবি) আগে বাচ্চারা অনেক বেশি খেলাধূলা করত, কিন্তু এখন স্কুলের বাইরে একস্ট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটি এতটাই বেশি করতে হয় যে বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা, খেলাধূলার সময় নেই। ফলে বাচ্চাদের মধ্যেও একাকীত্ব বাড়ছে। এখন বাচ্চারা অনেক বেশি ডিজিটাল মাধ্যমে অভ্যস্ত। সারাদিন ল্যাপটপ, মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের অনেক ব্যাপার তাদের নখদর্পনে। ফলে কম বয়স থেকেই এমন অনেক বিষয় জেনে যাচ্ছে বাচ্চারা যা তাদের জানার কথাই নয়। (প্রতীকী ছবি) সমীক্ষা বলছে, পাঁচ থেকে বারো বছরের বাচ্চাদের মানসিক সমস্যা আগের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। এই বয়সের বাচ্চাদের মধ্যে ওসিডি, ডিপ্রেশন, প্যানিক অ্যাটাক, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের সমস্যা দেখা দিতে পারে নানা কারণে। স্কুলে হয়তো হেনস্থার শিকার হচ্ছে, বাড়ির পরিবেশ সুস্থ নয়, মা-বাবার মধ্যে সমস্যা, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া ইত্যাদি। তাই সন্তানের মনের প্রতি আরও যত্ন নিতে শিখুন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (প্রতীকী ছবি)