Tag Archives: Child Prodigy

Child Prodigy: ২ বছর বয়সেই মুখস্থ ৪৫ টি কবিতা! স্মার্টফোন থেকে দূরে বেড়ে ওঠা শিশুর স্মৃতিশক্তির স্থান রেকর্ড বইয়ে

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: বর্তমানে যখন শিশুরা মোবাইলমুখী, ঠিক সেই সময়, সাগরদিঘীর দুই বছরের শিশু আরহাম হাসানের প্রতিভা দেখে খুশির জোয়ার এলাকাজুড়ে। আরহাম হাসানের প্রতিভা দেখে ছুটে এলেন গ্রামবাসীরা, তার কারণ নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। তার প্রতিভা দেখলেই চমকে যাবেন সকলেই।

দুই বছরের শিশুর নাম আরহাম হাসান (আরিয়ান)। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী ব্লকের পাটকেলডাঙা অঞ্চলের সিংহেশ্বরী গৌরীপুরে। ওই শিশুর বাবা মেহেদী হাসান ব্যবসায়ী। আর মা সুলতানারা খাতুন পড়াশুনোর সঙ্গে যুক্ত। জানা যায়, শিশুর মা এবং তার মামা বাপ্পি ওই শিশুকে গড়ে তুলেছেন। মাত্র দু’বছরের শিশু আরিয়ান এখনও স্পষ্ট করে কথা বলতে শেখেনি। কিন্তু অস্পষ্ট ভাবেই অনায়াসে বলতে পারে বাংলা, ইংরেজি ভাষায় ৪৫ টি কবিতা

আরও পড়ুন : মোয়া খেতে ভালবাসেন? কিন্তু ‘জয়নগর’ নাম এল কোথা থেকে? জানলে চমকে যাবেন…

আরও বলতে পারে A থেকে Z পর্যন্ত, অ থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত, এমনকি তার পিন নং ও বাড়ির দুটো মোবাইল নং সহ সম্পূর্ণ ঠিকানা। এছাড়াও সমস্ত দেশের নাম, ফল ফুলের নাম এবং শরীরে সমস্ত অঙ্গের নাম সহ বাংলা এবং ইংরেজিতে মাস ও সপ্তাহের নাম। এমনকি বাংলা এবং ইংরেজিতে ১ থেকে ২৫ পর্যন্ত বলতে পারে এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বলতে পারদর্শী।

শিশুর মামা ইত্তেফাকরুল ইসলাম (বাপ্পি) জানান, ভাগ্নের প্রতিভা দেখে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডস, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসের সুপার ট্যালেন্টেড কিড অ্যাওয়ার্ড এবং এলিট বুক অফ রেকর্ড এর মতো তিনটি  বইয়ে আবেদন করা হয়। তারপরেই তিনটিতেই নাম উঠেছে তার ভাগ্নে আরিয়ান এর। বর্তমানে এসেছে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র। বাকিগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে বলেই দাবি তার। গ্রামের শিশুর এই প্রতিভা দেখে এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম উঠতেই গর্বিত গ্রামবাসীরাও।

Child Prodigy: ৮০ টা কবিতা কণ্ঠস্থ! ঠোঁটের ডগায় সাধারণ জ্ঞানের ভান্ডার! ৩ বছর বয়সের আগেই তাক লাগাচ্ছে শিশুকন্যা

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: বয়স সবে তিন বছরের কাছাকাছি! ঠিক মতো কথাও ফোটেনি মুখে। ভাল করে মুখে বুলি ফোটার বয়স হয়নি এখনও। বয়স সবে মাত্র তিনের দোরগোড়ায়। আর তার মধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিস্ময়কর শিশুর প্রতিভার কারণে ইতি মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ।

মাত্র ২ বছর ১১ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কন্যা শিশু ঋতু সরকার। ওই কন্যাশিশু অতি অল্প সময়ে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার ৮০টি কবিতা বলতে পারে। এছাড়াও ৮০টি সাধারণ জ্ঞানের উত্তর সহ ৩০ ধরণের শাক সবজি, ৩৫ ধরনের ফলের নাম বলতে ও লিখতে পারে। ৪০ ধরণের গাড়ির নাম, ৪৫টি ফুলের নাম, ৩৬টি পশু ও ৩০টি পাখির নাম-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বলতে ও লিখতে পারদর্শী সে।

আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই ডাকযোগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে তার বাড়িতে শংসাপত্র এসে পৌঁছয়। এরপর পরিবারে খুশি নেমে আসে। শিশুর বাবা রাজু সরকার কাশ্মীরে বিএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত। শিশুর মা মধুশ্রী মোদক সরকার বলেন, মেয়ের পারদর্শিতায় আমরা চরম খুশি। আগামীতে আরও বড় কিছু করে দেখানোর জন্য মেয়েকে সেভাবেই তৈরি করছি।

আরও পড়ুন : ১৪ ঘণ্টায় এভারেস্ট বিজয়! দ্রুততম মহিলা পর্বতারোহী হিসেবে বিশ্বের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে রেকর্ড ফুঞ্জো লামার 

প্রতিভাবান শিশু ঋতু সরকার এই বয়সেই ছবি দেখে ৩০টি প্রাণীর নাম বলতে পারে সে। একাধিক দক্ষতার অধিকারী এই বয়সেই। সে কারণেই মাত্র দু’বছর ১১ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে ঋতু সরকারের। মাত্র দু’বছর ১১ মাস বয়সে এই সাফল্যে গর্বিত তার বাবা মা, পরিবারের লোকজন ও শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা ।

শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এটা আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল মেয়েকে নিয়ে। সেই স্বপ্ন পূরণ হল। আমরাও খুব খুশি। ও ছোট বলে কিছু জানবে না, এটা না ভেবে ওর সঙ্গে গল্প করতাম, বিভিন্ন জিনিস চেনাতাম। তাই আজকে সাফল্য এল। ৮০টি সাধারণ জ্ঞানের উত্তর-সহ ৩০ ধরণের শাকসব্জি, ৩৫ ধরণের ফলের নাম বলতে ও লিখতে পারে। ৪০ ধরণের গাড়ির নাম, ৪৫টি ফুলের নাম, ৩৬টি পশু ও ৩০টি পাখির নাম সহ বিভিন্ন বিষয়ে বলতে ও লিখতে পারদর্শী।

Child Prodigy: ২ বছর ৫ মাস বয়সেই মুখস্থ অসংখ্য জিনিস! শিশুর বিস্ময়প্রতিভায় তাজ্জব সকলে

সার্থক পণ্ডিত, মাথাভাঙা: কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার মানসাই নদীর পাড়ের গ্রাম কুর্শামারি। এই গ্রামের এক কৃষক পরিবারের সন্তান অভিয়ান বর্মন। বর্তমান সময়ে তাঁকে দেখতে তাঁর বাড়িতে বহু মানুষের ভিড় জমছে। তবে কী এমন কারণ যার ফলে একটি শিশু এতটা ভাইরাল হয়ে উঠল? তার বয়স মাত্র দু’বছর পাঁচ মাস। কিন্তু এত ছোট বয়সেই গড়গড়িয়ে সে বলে ফেলছে বহু জিনিসের নাম। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে শুরু করে শাকসবজি ফলমূল ও বিভিন্ন মাসের নামও। আর সেই কারণেই সাধারণ মানুষ এই শিশুর কীর্তিতে রীতিমতো অবাক। সকাল থেকে সন্ধ্যা বহু মানুষ আসছে তাঁর বাড়িতে তাঁর এই প্রতিভা দেখতে।

অভিয়ান বর্মনের মা স্মৃতিলতা রায় বর্মন জানান, “ছোট থেকেই অভিয়ানের বিভিন্ন জিনিস জানার প্রতি আগ্রহ। কোন জিনিসের কী নাম, তা জানতে তাঁর বেশ ভাল লাগত। সকলকে জিজ্ঞেস করে বেড়াত বিভিন্ন জিনিসের নাম। তার পর ধীরে ধীরে সে সেগুলি রপ্ত করতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে গড়গড়িয়ে সে বলে ফেলছে বিভিন্ন জিনিসের নাম। আর ছেলের এই প্রতিভায় রীতিমতো খুশি তিনি। ইতিমধ্যেই ছেলে একটি পুরস্কার পেয়েছে। আগামী দিনে ছেলে আরও সাফল্য অর্জন করুক এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর। তবে বর্তমান সময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ আসছেন তাঁদের বাড়িতে ছেলের এই প্রতিভা দেখতে।”

অভিয়ান বর্মনের বাবা হলধর বর্মন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে ছেলেকে তাঁরা বহু জিনিসের নাম বলেছেন। আর ছেলে সেগুলি রপ্ত করে গড়গড়িয়ে বলে ফেলছে। এর চাইতে খুশির আর কী হতে পারে। তবে ছেলেকে এই জিনিসগুলোই শেখানোর জন্য তাঁর মায়ের বেশি আগ্রহ ছিল। গ্রাম্য পরিবেশের কৃষক পরিবারের শিশু সে। তাইতো তাঁর এই প্রতিভায় রীতিমতো খুশি হয়েছে বাড়ির প্রত্যেকটি মানুষ।

আরও পড়ুন : ঘরের কাছেই সতীপীঠ, অল্প খরচে দর্শন করুন বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির

তবে অভিয়ানের কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সে নিজের মতন গড়গড়িয়ে বলে চলেছে এই সকল জিনিসের নাম। এছাড়া কিছুক্ষণ বাদে বাদে তাঁর চাই চকোলেট। তবেই সে সকলের সঙ্গে একেবারেই শান্ত হয়ে বসে থাকছে। বহু মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছে গ্রামের এই বিস্ময়শিশুর বাড়িতে।

Child Prodigy: বিস্ময় শিশু! ১ বছর ৭ মাস বয়সেই চেনে জ্যামিতিক আকার! মুখস্থ বাংলা-ইংরেজি অক্ষর, পশু-পাখির নাম

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি :  বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস। এই সময়ে তার মা-বাবার কোলে ঘুরে বেড়ানোর কথা,  মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে খেলে বেড়ানোর কথা। কিন্তু এই বয়সেই গড়গড় করে বলে দেয় বাংলা- ইংরেজি অক্ষর, পশু-পাখির নাম। এমনকি জটিল অঙ্কের জ্যামিতিক আকার চিনে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। এতো ছোট্ট বয়সে খুদের এমন প্রতিভা দেখে যেকোনও বাবা-মায়ের গর্বে বুক ফুলে উঠবেই। জলপাইগুড়ির এই বিস্ময় শিশুর কীর্তিতে খুশি জেলাবাসী। ইতিমধ্যেই তার এমন প্রতিভার কদর করেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস।

মুখে এখনও ঠিকমতো কথাও ফোটেনি, কিন্তু তাতে কী? ছোট্ট শিশু হৃদানের প্রতিভা দেখে অবাক সকলে। হৃদান মিত্র যেন এক বিস্ময় শিশু!এখনও ঠিকমতো কথা বলতে না পারলেও ছোট্ট হৃদান চিনতে পারে ইংরেজি বর্ণমালার সমস্ত বর্ণ, চিনতে পারে বাংলা এবং ইংরেজি সংখ্যা, বিভিন্ন প্রাণী,সবজি,ফল ,মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ। পাশাপাশি রয়েছে জ্যামিতিক আকারের ধারণাও। গাড়ির নম্বর প্লেট দেখলেও সংখ্যাগুলো বলতে শুরু করে সে। যে কোনও সংখ্যা এলোমেলো করে রেখে প্রশ্ন করা হলে সঠিক সংখ্যাটি চিনে ফেলে সে। প্রশ্ন করা যে কোনও বর্ণ,সংখ্যা ,সবজি হাতে নিয়েই দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অস্পষ্ট ভাষায় বলতে শুরু করে। তার এই প্রতিভার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিস্ময় শিশুর।

আরও পড়ুন : মেদ গলে গিয়ে পালকের মতো হবে চেহারা, শুধু রসুন খেতে হবে এভাবে

সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র পেয়েছে এই ছোট্ট শিশু হৃদান। অন্য কোনও খেলাতে মন নেই তার। সারা ক্ষণ বর্ণমালা নিয়ে পড়ে থাকে সে। এখনকার দিনে যেখানে বাচ্চারা ছোট থেকেই ক্রমে মোবাইল আসক্ত হয়ে পড়ছে সেখানে হৃদানের পড়াশোনার প্রতি ভালবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়।

হৃদানের বাবা সুব্রত মিত্র পেশায় চিকিৎসক ,মা দীপাঙ্কণা ভট্টাচার্য মিত্র প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। মায়ের কর্মসূত্রে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার সুভাষ পল্লীতে দাদু বাড়িতে থাকে হৃদান । নাতির প্রতিভা দেখে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শংসাপত্র দিয়েছে, এতে অত্যন্ত আনন্দিত দিদা মৌসুমী ভট্টাচার্য। তার কথায়, পরিষ্কার করে কথা বলতে না পারলেও এলোমেলো বর্ণাক্ষর থেকে যে কোনও বর্ণ জানতে চাইলে নাতি সঠিক উত্তর দেবে নিমেষেই। জানা যায়, মাত্র ৭ মাস বয়স থেকেই এই বিস্ময় শিশু অন্যান্য খেলনা বাদ দিয়ে পড়ার বই আগ্রহ সহকারে দেখত। মাত্র ১ বছর ৭ মাস বয়সে খুদের এমন পরিচিতি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দের আমেজ পরিবার-সহ গোটা এলাকা জুড়ে।

Child Prodigy: ১৩০ দেশের রাজধানী থেকে নানা আবিষ্কারের খুঁটিনাটি মুখস্থ! খুদে প্রতিভার স্থান রেকর্ড বইয়ে

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : বয়স তার মাত্র ১০ বছর। এর মধ্যেই নাম উঠে গিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে। ইমন মণ্ডলকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই হিলি-র মানুষের। নিমেষেই বলে দিতে পারে ১৩০টি দেশের রাজধানীর নাম। এমনকি নানাবিধ বিবরণ-সহ বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কারের খুঁটিনাটিও এই স্কুলপড়ুয়ার নখদর্পণে রয়েছে। ওই ব্যতিক্রমী প্রতিভার জন্য পঞ্চম শ্রেণির ইমন মণ্ডলকে স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড।

বাংলাদেশের সীমান্ত হিলি থানার ভারত ঘেঁষা চুকুরপাই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি ইমরান মণ্ডল। তাঁর ১০ বছর বয়সি পুত্রসন্তান ইমন মণ্ডল। পাঞ্জুল হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু সে ব্যতিক্রমী প্রতিভার। ইন্টারনেট ঘেঁটে একাধিক বিষয়ে জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেছে। ১ মিনিটেই বলে দিতে পারছে ১৩০টি দেশের রাজধানীর নাম। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর ২৬টি স্ট্যাচুর নাম অবলীলায় বলে দিতে পারে। ইমনের বাবা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান মণ্ডলের আনন্দ যেন ধরে না। জানা গিয়েছে, মোবাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য খাতায় লিখে নিয়ে পড়াশুনা করত। সম্প্রতি ওই কিশোরের পরিবারের তরফে তার এই প্রতিভার কথা জানানো হয়।

ক্ষুদে স্কুল পড়ুয়া ইমন মন্ডল জানান, “বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে তার। এই অল্প বয়সেই ইঞ্জিনিয়রিংয়ের পাঠ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটিও শুরু করে দিয়েছে। এই সাফল্য পেয়ে বড় খুশি সে। অকপটেই বলছে, ইন্টারনেট থেকেই আমি সব শিখেছি। খেলাধূলার থেকে পড়তে বেশি ভাল লাগে।”

আরও পড়ুন : ব্লাড সুগার থেকে কৃমি নিয়ন্ত্রণ করে নিমেষে! জানুন পলাশগাছের নানা অংশের হাজারো ওষধি গুণ

ইমনের মা রিজিয়া সুলতানা বলেন,  “ছোট থেকেই ওর পড়াশোনার প্রতি খুব ঝোঁক। এখন যা শিখেছে তা কিন্তু মোবাইল ঘেঁটেই। ইন্টারনেট থেকে পড়াশোনা করে। আমরাও গাইড করেছি, শিক্ষকেরাও। ওর পড়াশোনায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটা আমরা সবসময় দেখি।”

ইমনের পরিবার সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডের ওই সংস্থার তরফে ইমনের ব্যতিক্রমী প্রতিভার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর পরই ভারতের ১০জন কিশোরের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-র অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ইমন। তার পরেই আসে সুখবর। সেখানেই ইমনের প্রতিভা প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ড থেকে ইমন মণ্ডলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সম্প্রতি ইমনের বাড়ি স্বীকৃতিপত্র পাঠিয়েছে ওই সংস্থা। তার পর থেকে উচ্ছ্বসিত পারিবারের সদস্যরা।

Child Prodigy: ১৭ টি কবিতা মুখস্থ! গড়গড়িয়ে বলে চলে ১৮ রকম সবজির নাম! রেকর্ড বইয়ে ঠাঁই পেয়ে বাজিমাত বিস্ময়শিশুর

সৈকত শী, পাঁশকুড়া: আশ্চর্য প্রতিভাধর এক শিশু। মাত্র ১ বছর ১০ মাস বয়সেই গড় গড়িয়ে বলতে পারে আবৃত্তি। তাও আবার একটা দুটো কবিতা নয়, ১৭ টি কবিতা তার মুখস্থ। এই বয়সে অন্যান্য শিশুরা সামান্য কিছু শব্দ বলতে পারে, সেই জায়গায় এই শিশুর স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর হওয়ায় এই বয়সে নামতা থেকে ইংরেজি অক্ষরমালা-সবকিছুই পর পর বলতে পারে। নাম আরাধ্যা পণ্ডিত। বাড়ি পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত বালিশর গ্রামে। এই শিশু বয়সেই তার এই আশ্চর্য প্রতিভা দেখে পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয়রাও মুগ্ধ। ছোট্ট আরাধ্যার নাম উঠল ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে।‌

আরাধ্যার বাবা সোমনাথ পণ্ডিত সরকারি স্কুলের শিক্ষক, অন্যদিকে মা অনিমা পণ্ডিত পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নার্স। যে বয়সে অন্যান্য শিশুরা ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। সেই বয়সেই আরাধ্যা বিভিন্ন পশু পাখির ডাক থেকে অন্যান্য কথা শুনে শুনে বলতে পারত। তারপর থেকেই বাবা মার অসাধারণ প্রশিক্ষণে অসাধারণ হয়ে উঠেছে ছোট্ট আরাধ্যা। তাই আরাধ্যার স্মৃতিশক্তি এই বয়সের অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গড়গড়িয়ে ছড়া বলা থেকে নামতা, ইংরেজির অক্ষর থেকে শুরু করে সবকিছুই তার ঠোঁটস্থ।

আরও পড়ুন : প্রকৃতির কোলে অল্প খরচে ছুটি কাটাতে চান? আসুন ভুটান পাহাড় ও চাবাগানের মাঝে এই একফালি জায়গায়

আরাধ্যার এই বিশ্বের প্রতিভা নিয়ে তার মা অনামিকা পণ্ডিত জানান, এক বছর বয়স থেকেই আরাধ্যা টিভি থেকে বা চারপাশের পশু পাখির আওয়াজ শুনে শুনে নকল করতে পারত। নিজের নাম, বাড়ি ও ঠিকানা বলতে পারে। তার পর থেকে ধীরে ধীরে আরাধ্যাকে যা শেখানো হয়, তা সে মনে রাখতে পারে। এই বয়সে ফুল ফল সবজি চেনার পাশাপাশি বিভিন্ন পশু পাখিদেরও চিনতে পারে।

প্রখর স্মৃতি শক্তিধর আরাধ্যায় এই বয়সে ১৭ টি কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি ছোট্ট আরাধ্যা ১৮ রকম সবজিও চিনতে পারে। বাড়ির ৪০ রকমের জিনিস চিনতে পারে। ৬ টি পশুর ডাক নকল করতে পারে। এমনকি নানা পশুদের চিনতে পারে। ঠিকানা ও বাড়ির লোকের নাম বলতে পারে ৩৩ সেকেন্ডে। পাঁশকুড়ার আরাধ্যার এই বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে গর্বিত তার পরিবার আত্মীয়স্বজন থেকে প্রতিবেশীরা।

Child Prodigy: বিস্ময় শিশু! একবার শুনেই মন্ত্রপাঠ থেকে দেশের রাজধানী কণ্ঠস্থ ৩ বছরের এই স্মৃতিধরের

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বয়স মাত্র তিন বছর এক মাস! এর মধ্যেই স্মৃতি শক্তির তুখোড় নিদর্শন বাঁকুড়ার এক খুদে। প্রত্যেক বাবা-মায়ের স্বপ্ন থাকে তাদের ছেলে-মেয়ে জীবনে এগিয়ে যাবে, পড়াশোনায় ভাল হবে। কিন্তু একেবারে ছোট্ট বয়সেই মেয়ের অদ্ভূত স্মৃতিশক্তি দেখে যে কোনও মা বাবার গর্বে বুক ফুলে উঠবেই।

এরকমই এক দৃষ্টান্ত বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাঁজকোনা গ্রামের শিশুকন্যা আহিকা নন্দীর মধ্যে। বাবা তোতন নন্দী এবং মা শিউলি নন্দীর সঙ্গে আহিকার বাস ইন্দাস ব্লকের আমরুল অঞ্চলের পাঁজকোনা গ্রামে।

আরও পড়ুন : ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পুরুলিয়া পাল্লা দিচ্ছে গ্যাংটকের সঙ্গে! শীতের কামড়ে রাজ্য জুড়ে থরহরি কম্প! রইল বড় আপডেট

আহিকার মা শিউলি দেবী জানান ছোটবেলা থেকেই সে মন্ত্র উচ্চারণ থেকে শুরু করে ছড়া,কবিতা-সবকিছু  শুনে মনে রেখে দিত এবং পরে অনায়াসে বলতেও পারত। সে ইংরেজি সমস্ত মাসের নাম থেকে শুরু করে পতাকার ছবি দেখে সমস্ত দেশের নাম অনর্গল বলে দিতে পারে। আহিকার এই দক্ষতা দেখে তার মা শিউলি দেবী আরও তৎপর হন।

আহিকার সমস্ত কিছু বলতে পারা বা লিখতে পারার দক্ষতা অবাক করেছে সকলকে। লোকমুখে এই প্রতিভার কথা প্রচার হওয়ার পর অনেকেই পরখ করতে চাইছেন ছোট্ট আহিকাকে। তবে হতাশ হচ্ছেন না কেউ। তার এই অদ্ভুত প্রতিভার কথা জানতে পেরে রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এরকম এক শিশুকন্যার জন্য খুবই গর্ব অনুভব করছেন পাঁজকোনা গ্রামের নন্দী দম্পতি।