মধ্যপ্রদেশ: এক মাস ধরে একটানা অত্যাচার৷ দিনের পর দিন ধর্ষণ৷ শুধু তাই নয়, কখনও শরীরের কাটা জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে গুঁড়ো লঙ্কা, কখনও আঠা লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঠোঁট৷ মধ্যপ্রদেশের গুণায় সামনে এল ভয়ঙ্কর এক নির্যাতনের ঘটনা৷
মধ্যপ্রদেশের গুণার একটি গ্রামে মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন বছর ২৩-এর ওই তরুণী৷ মাসখানেক আগে তাঁর মা শিবপুরী বেড়াতে যান৷ সেই সময় নিজের বাড়িতে একাই থাকছিলেন ওই তরুণী৷
ওই তরুণীর অভিযোগ, এই সময় একদিন তাঁর প্রতিবেশী তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান৷ তারপর তাঁকে কৌশলে সেখানেই একটা ঘরে বন্ধ করে রাখেন৷ এর পরেই চলে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং অত্যাচার৷ কোনও বেল্ট দিয়ে এলোপাথাড়ি মার, কখনও হাত দিয়েই বেধড়ক মারধর৷
আরও পড়ুন: এক দেশে চাষ আর এক দেশে বাস! লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কে কী বলছেন তাঁরা, শুনুন
এমনকি, তরুণীর কাটা জায়গায় লঙ্কার গুঁড়ো লাগিয়ে দেওয়া হত৷ পাছে সে চিৎকার করে, তাই জোরাল আঠা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হত ঠোঁট৷
তরুণীর অভিযোগ, অভিযুক্ত চাইছিল সে যাতে তাঁকে বিয়ে করে তাঁর বাড়ি জমি ওই প্রতিবেশীকে লিখে দেয়৷
প্রায় একমাস বন্দি থাকার পরে গত মঙ্গলবার কোনও রকমে পালাতে সক্ষম হন ওই তরুণী৷ এরপর টানা ৫ কিলোমিটার কোনও রকমে পায়ে হেঁটে পৌঁছন নিকটবর্তী থানায়৷
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী যখন থানায় পৌঁছন, তখন তাঁর অবস্থা দেখে আঁতকে গিয়েছিলেন তাঁরাই৷ তরুণীর চোখ মারধরে ফুলে গিয়েছিল, সারা শরীর জুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন৷ তরুণীর ঠোঁট ছিল আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো৷
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, আপত্তিকর কথা, মারধর ইত্যাদির অভিযোগ আনা হয়েছে৷