চক্র রেলের ৪০ বছরের গৌরবময় পরিষেবা উদযাপনে শিয়ালদা ডিভিশন

Indian Railway: চক্র রেলের ৪০ বছরের গৌরবময় পরিষেবা উদযাপনে শিয়ালদা ডিভিশন

শিয়ালদহ বিভাগের চক্ররেল পরিষেবা ১৯৮৪ সাল থেকে চালু রয়েছে এবং এবছর সেই দৃষ্টান্তমূলক পরিষেবার ৪০ বছর সম্পূর্ণ হচ্ছে।  চক্র রেলের ধারণাটি রেলপথ মন্ত্রক দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল কলকাতা শহরে বিদ্যমান পরিবহন প্রতিবন্ধকতাকে সহজ করার লক্ষ্যে।

৩০০ বছরের পুরানো এই ঐতিহাসিক শহরে মাত্র ৫ শতাংশ রাস্তা আছে। যানজট এড়াতে রেলওয়ে বোর্ড মাঝেরহাট থেকে টালা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পরিত্যক্ত রেল সড়ককে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল।

আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের পর কে হবেন দিল্লির মুখ‍্যমন্ত্রী? অতিশির পাশেই উঠে এল যে নাম… মঙ্গলবারেই চূড়ান্ত বৈঠক

আশির দশকের গোড়ার দিকে চক্র রেলের নির্মাণ ত্বরান্বিত হয়। বর্তমানে, চক্ররেল প্রায় ৪৪ কিমি দূরত্ব জুড়ে একটি বৃত্তাকার রুট গঠন করেছে। দমদম জং, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, মাঝেরহাট ইত্যাদির মতো প্রধান স্টেশনগুলিকে নিয়ে মোট ২১টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে এই রুটে।

 চক্র রেল যাত্রীবাহী ও পণ্য ট্রেন- উভয় পরিষেবাই প্রদান করে। যাত্রী পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে ই.এম.ইউ লোকাল, যা এই মহানগরীর পরিবহন চাহিদা পূরণ করে উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলিকে সংযুক্তি করণের মাধ্যমে ।

আরও পড়ুন: ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ নষ্ট’, ‘সঞ্জয়কে বাঁচানোর চেষ্টা’! টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে আরও কী কী চাঞ্চল‍্যকর অভিযোগ সিবিআইয়ের?

চক্ররেল কর্তৃপক্ষ লক্ষাধিক যাত্রীদের সুবিধার্থে সারাদিনে ২৯টি ইএমইউ লোকাল চালায়। সার্কুলার রেলওয়ে কলকাতার পরিবহন নেটওয়ার্কের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি দক্ষ, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং পরিবেশ বান্ধব পরিবহন পরিষেবা প্রদান করে চলেছে বিগত ৪০ বছর ধরে। চক্ররেল কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ ধমনী যা লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে সুবিধা প্রদান করে এবং যার প্রভাব কলকাতার সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন: বুধ, সূর্য, শুক্র…স্থান বদল ৩ বড় গ্রহের! ৩ রাশির ভাগ‍্যের চাকা ঘুরে যাবে, হাতের মুঠোয় সাফল‍্য, টাকাপয়সা উপচে পড়বে

চক্ররেল পরিষেবা আরও বেশি বৃদ্ধি পেলে অফিস পাড়া বা কলকাতার সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট সহজেই সংযুক্ত হয়ে যাবে৷ ফলে শিয়ালদহ ডিভিশন চাইছে এই পথে রেল চলাচল আরও বাড়াতে। একই সঙ্গে চক্ররেল পরিষেবায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে চায় রেল৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জবরদখল। চক্র রেলের একটা বড় অংশ বন্দর এলাকা দিয়ে রয়েছে। ফলে রাজ্য ও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে আশু সমাধান চায় রেল।।