ভারোত্তোলন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সিভিক ভলান্টিয়ার

Howrah News: সবাই খারাপ নয়, হাওড়ার এক সিভিক ভলান্টিয়ার খুদেদের জন্য যা করছেন, জানলে স্যালুট জানাবেন

হাওড়া: পেশাগত ভাবে সিভিক ভলান্টিয়ার হলেও তিনি হতে চেয়েছিল ভারোত্তোলক, কিন্তু পরিবারের হাল ধরতে কাজের চাপে নিজের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সক্ষম হননি হাওড়ার সিভিক ভলান্টিয়ার প্রলয় বাগ | কিন্তু তার সেই অপূর্ণ ইচ্ছাকে গ্রামের অন্য বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান হাওড়ার দেউলপুর গ্রামের প্রলয় | আর তাই ধূলাগড় ট্রাফিক গার্ডে চাকরি করা সিভিক ভলান্টিয়ার প্রলয় ডিউটি শেষ করে প্রতিদিন বিকেলে ভারোত্তোলন  (ওয়েটলিফটিং)-এর প্রশিক্ষণ দেন গ্রামের ছেলে-মেয়েদের | নিজের অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে ১১ বছর ধরে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে প্রলয় |

শ্রাবণী দাস,  জ্যোতি মাল,  অচিন্ত্য,  শিউলিদের সফলতা আরও বেশি করে গ্রামের মানুষের মধ্যে ওয়েটলিফটিং জায়গা করে নিয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবলের মত গ্রামের ছেলে মেয়েদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাবা-মা। বর্তমানে ৮০ জন ছেলে-মেয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাঁদের প্ৰিয় প্রলয় স্যারের কাছ থেকে | ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জাতীয় স্তরে পৌঁছেছে | সম্প্রতি হিমাচলপ্রদেশে অনুষ্ঠিত ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় হাওড়া থেকে অংশগ্রহণ করে ১১ জন ছেলে-মেয়ে। যা দেউলপুর গ্রাম তথা প্রলয়ের কাছে গর্বের ব্যাপার |

আরও পড়ুন: গোটা গায়ে কাঁটা! হাওড়ার লোকালয়ে দেখা মিলল আজব প্রাণীর, স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার

এখানকার অধিকাংশ ছেলে মেয়ে নিম্নবৃত্ত পরিবারের। কখনও খেলার সরঞ্জাম, ছেলেমেয়েদের খেলতে যাবার গাড়ি ভাড়া এবং খাবার সব দিকেইখেয়াল রাখেন প্রলয়। নিজের বেতনের অধিকাংশ টাকা ছেলেমেয়েদের খেলার জন্য খরচ করেন তাঁদের প্ৰিয় কোচ স্যার বলে জানালেন খুদে ভারোত্তোলক | স্যার তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য ডিউটি শেষ করে এসে বিকেলে ভারোত্তোলকের প্রশিক্ষণ দেন |পাশাপাশি অর্থাভাবে যাতে ভবিষ্যতে তাঁদের স্বপ্ন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখেন বলে জানালেন এক ভারোত্তলোক |

আরও পড়ুন: রাত জেগে কাজ? অজান্তেই শরীর বাসা বাঁধবে জটিল রোগ, সতর্ক থাকতে কী কী করবেন জানুন চিকিৎসকের এই পরামর্শ

নিজেদের বাচ্চারা যাতে ভারোত্তোলক খেলে দেশের নাম, গ্রামের নাম বজায় রাখতে পারে তাঁর জন্য প্রলয় স্যারের কৃতিত্বর কথা বলেন এক অভিভাবক | বর্তমানে শুধুমাত্র দেউলপুর গ্রামের ছেলেমেয়েরাই নয় কেশবপুর গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির ছেলে-মেয়েরাও আসে প্রলয়ের কাছে ভারোত্তোলনের ট্রেনিং নিতে, যাতে তাঁরা ভারোত্তোলক হয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি তাঁদের প্ৰিয় স্যারের নাম উজ্জ্বল করতে পারে।

রাকেশ মাইতি