হরিপাল: নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় হরিপালে। বিডিও অফিস সংলগ্ন গোপীনগর এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। খবর পেয়ে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে হরিপাল থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ইতিমধ্যেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার সিপিআইএম কর্মীরা। এবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নাবালিকা ছাত্রীকে নবম শ্রেনির ছাত্রীকে অচৈতন্য এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পাড়ার কয়েকজন মহিলাই প্রথম দেখতে পান। পরে তারাই ছাত্রীকে পোশাক পরান এবং নাম ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের দাবি, নাবালিকা ছাত্রী তাদের জানিয়েছে তার বাড়ি সিঙ্গুর থানার নসিবপুর খাল ধার এলাকায়। সিঙ্গুরের গোলাপ মোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: আর কটাক্ষ হজম নয়, আরজি কর কাণ্ডে এবার জবাব দেবে তৃণমূল! চলে এল নির্দেশ
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অসংলগ্ন অবস্থাতেই আরও বেশ কিছু তথ্য জানায় ওই ছাত্রী। ছাত্রী জানিয়েছে, সিঙ্গুর থেকে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করেই তাকে একটি চার চাকা গাড়িতে তুলে নেয় কয়েক জন, এরপর কী হয়েছে নাবালিকা ছাত্রীটি কিছুই জানাতে পারেনি। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীতে পাঠরত ওই নাবালিকা। স্কুলের পাশেই এক গৃহ শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে যায় ওই কিশোরী। টিউশন শেষে নসিবপুরে বাড়ি ফেরার জন্য সিঙ্গুর স্টেশনে যায় ট্রেন ধরার জন্য এর পর আর বাড়ি ফেরিনি বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা! লাইনচ্যুত এক্সপ্রেস ট্রেনের ২ কামরা, সাত সকালেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড
তারপর থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে হরিপাল এলাকা থেকে কেউ বা কারা নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানালে হরিপাল হাসপাতালে আসে পরিবারের লোকজন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে ঐ নাবালিকা সিঙ্গুর স্টেশন থেকে সাদা সালোয়ার পরে ট্রেন ধরতে যাচ্ছে। পাশাপাশি হরিপাল স্টেশন ও বাজার এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় নাবালিকা হেঁটে যাচ্ছে। সেখান থেকে পুলিশের অনুমান, যে গতকাল রাতে মেয়েটি পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল, যে টিউশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাকে চারজন দুস্কৃতি চার চাকা গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল হরিপালে।
আরও পড়ুন: ১০০ বছর পর গণেশ চতুর্থীতে বিরল যোগ! ৩ রাশির কপাল খুলবে, টাকার বৃষ্টি
কিন্তু দুষ্কৃতীরা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। কারণ স্থানীয়রা অর্ধনগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের আরও অনুমান, নাবালিকা পুলিশ কে যে তথ্য দিয়েছিল, সেটা হয়তো সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কিন্তু পুলিশ তদন্তের স্বার্থে সেই সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ্যে আনেনি।
Rana Karmakar