মিষ্টির দোকানে কিলবিল করছে ৩০টি কিং কোবরা ! (Representative Image)

মিষ্টির দোকানে কিলবিল করছে ৩০টি কিং কোবরা ! ছুটোছুটি লাগিয়ে দিলেন ক্রেতারা, মাথায় হাত মালিকের

Report: Ashish Kumar Sinha

কিষাণগঞ্জ, বিহার: বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা একেবারে দার্জিলিংয়ের গায়ে। তাই এখনকার আবহাওয়াও বেশ মনোরম। অনেকে একে ‘বিহারের দার্জিলিং’-ও বলেন। বর্ষার মরশুমে হাওয়া বদলাতে কিষাণগঞ্জে ঘুরতে আসেন অনেকেই। কিন্তু এই সময় এলাকায় ওঁত পেতে থাকে আরেক বিপদ। সেটা হল বিষাক্ত সাপ।

এ বছর কিষাণগঞ্জে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। একসঙ্গে চার-পাঁচটা সাপ বেরচ্ছে। উপায় না দেখে সর্পবিশারদ ডাকেন এলাকার বাসিন্দারা। তখনই হদিশ মেলে ‘কোবরা কলোনি’-র। তারপর কী হল? তার আগে জেনে নেওয়া যাক ‘কোবরা কলোনি’ কী।

আরও পড়ুন– প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করার মাঝেই আরপিএফ-এর হানা, তারপর যা জানা গেল… আপাতত শ্রীঘরে ‘টিকিট পরীক্ষক’

বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ ব্লকের বাসবাড়ি হাটের একটি মিষ্টির দোকানে ঘাঁটি গেড়েছিল ২৫ থেকে ৩০টি কিং কোবরা। একদিন সকালে কিলবিল করে বেরিয়ে আসে তারা। একসঙ্গে এতগুলো বিষাক্ত সাপ দেখে ভয় পেয়ে যান স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কায়সার নামের এক ব্যক্তির মিষ্টির দোকানে আচমকাই সাপ বেরতে শুরু করে। দোকান মালিক ও ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।

সাপ বেরনোর খবরে ভিড় জমে যায় মিষ্টির দোকানে। শেষ পর্যন্ত সর্পবিশারদদের খবর দেন দোকান মালিক। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁরা ২৫ থেকে ৩০টি সাপ উদ্ধার করেন। এক জায়গা থেকে এতগুলো সাপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর থেকেই এলাকার বাসিন্দারা এই দোকানকে ‘কোবরা কলোনি’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন-জয়েন্টে প্রথম, আইআইটি বম্বে-তে পড়াশোনা, এখন কী করছেন প্রণব গোয়েল?

কিং কোবরা উদ্ধারের পর সাপ নিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করেন সর্পবিশারদরা। সাপে কামড়ালে সরাসরি হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেন তাঁরা। সঙ্গে জানান, “আমরা নিজেরাই অবাক হয়ে যাচ্ছি, এমন বিলাসবহুল দোকানে কীভাবে কিং কোবরার দল ঘাঁটি গাড়ল!”

সর্পরক্ষকরা জানান, একটা কিং কোবরা ৩০ থেকে ৩৫টা ডিম পাড়ে। দুটো কোবরা ডিম দিলে সাপের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এতগুলো কিং কোবরার বাচ্চা লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বলে রাখা ভাল, বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাপের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিদিনই জনবহুল এলাকায় সাপ বের হতে দেখা যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।