ডিজিটাল মাধ্যমে চাঁদা প্রদান

অনলাইনে এবার পুজোর চাঁদা আদায়! মন্দিরে কিউআর কোড সাঁটানো

মালদহ: দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রসিদ কেটে পুজোর চাঁদা আদায়ের দিন শেষ। ডিজিটাল যুগে বদলেছে চাঁদা আদায়ের ধরন।

আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একেবারেই অন্যরকমভাবে দুর্গা পুজোর চাঁদা তুলছে প্রত্যন্ত গ্রামের একটি পুজো কমিটি। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে চাঁদাও তুলনায় বেশি উঠছে, দাবি পুজো কমিটির।

মালদহের কালিয়াচকের ষষানি সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি চাঁদা আদায় করছে কিউআর কোড ব্যবহার করে। পুজোর মন্দিরের দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে কিউআর কোর্ড। সেখানেই গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের ইচ্ছামত চাঁদার টাকা স্ক্যান করে দিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- ‘যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ধোনির সঙ্গে’, সিএসকে ছাড়বেন! নিলামের আগে কী হল মাহির?

সম্পূর্ণ টাকা জমা হচ্ছে পুজো কমিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। পুজো কমিটির সদস্য অসীম কুমার সরকার বলেন, আমরা ক্লাবের সদস্যরা চিন্তাভাবনা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে আমাদের অনেক সময় বেঁচেছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলতে হচ্ছে না। যারা গ্রামের বাইরে থাকেন তারাও এই কিউআর কোড ব্যবহার করে চাঁদা দিতে পারছেন সহজে।

কিউআর কোডের ব্যবহারে চাঁদা তোলায় পুজো কমিটির সদস্যদের সময় অনেক বেঁচেছে। এখন আর দল বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে চাঁদা তুলতে হচ্ছে না। এমনকী পুজো কমিটির পক্ষ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে। সেখানে এলাকার প্রতিটি পরিবারের একজন করে সদস্য রয়েছেন।

সেই গ্রুপের মধ্যে কিউআর কোড শেয়ার করা হয়েছে। সেখান থেকেও অনেকে বাড়িতে বসেই পুজোর চাঁদা দিয়ে দিচ্ছেন। গ্রামের অনেকেই কর্মসূত্রে শহর বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন। এক সময় তাদের চাঁদা আদায় করতে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হত উদ্যোক্তাদের।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে ‘চুনকাম’ করে ১০টি বিশ্বরেকর্ড গড়ল টিম ইন্ডিয়া, সামনে আরও বড় টার্গেট

কিউআর কোড চালু হওয়াই সেই সমস্যা একেবারেই দূর হয়েছে। দেশের যে কোনও প্রান্তে বসে গ্রামের বাসিন্দারা পুজো কমিটির নামে চাঁদা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ হারাধন রজক বলেন, কিউআর কোড ব্যবহার করে চাঁদা তোলায় তুলনায় বেশি চাঁদা উঠছে।

এই বছর বেশি চাঁদা উঠবে বলে মনে করছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। কিউআর কোড ব্যবহার করেও যে চাঁদা তোলা যায় তার এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চলেছে মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের এই পুজো কমিটি।

হরষিত সিংহ