কোচবিহার: আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি রয়েছে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচন ঘিরে জেলা জুড়ে থাকতে চলেছে কড়া নিরাপত্তার চাদর। উত্তরবঙ্গের জেলা কোচবিহার একেবারে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া।
সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় এখানে যেকোনও ভোট নিয়ে রাজনৈতিক তরজা থাকে একেবারে তুঙ্গে। কোচবিহারের দিনহাটা, সিতাই, শিতলকুচি, চ্যাংরাবান্ধা, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি এই বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত চোখে পড়ে। সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে এখানে ভোটের উত্তাপ থাকে অনেকটাই বেশি। আবার জেলায় বহু এলাকা এখনও এমন রয়েছে যেখানে ভোট হয়, তবে ভোটের কোন উত্তাপ চোখে পড়ে না।
কোচবিহার জেলার বিধানসভার আসনের সংখ্যা রয়েছে মোট ৯টি। এই আসনগুলির মধ্যে মেখলীগঞ্জ জলপাইগুড়ি লোকসভার অন্তর্গত। এবং তুফানগঞ্জ আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের অন্তর্গত। এছাড়া মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা এবং নাটাবাড়ি কোচবিহার লোকসভা আসনের অন্তর্গত।
জেলায় মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ১২,৬২,২৮১ জন। যাঁদের মধ্যে মোট ১,০১৪,৮৬৪ জন কোচবিহারের লোকসভা আসনে ভোট দেবেন। এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা রয়েছে ১১,৮৭,৩১৮ জন। যাঁদের মধ্যে ৯,৫১,৯৯৬ জন কোচবিহারের আসনে ভোট দেবেন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে মোট ৩৬ জন। যাঁদের মধ্যে ৩৩ জন কোচবিহারের আসনে ভোট দেবেন। সব মিলিয়ে জেলার মোট ২৪,৪৯,৬৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ১৯,৭০,৮৯৩ জন কোচবিহারের লোকসভা আসনের জন্য ভোট দিতে চলেছেন।
বাম জমানার অবসানের পর থেকেই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান শাসক দল। তবে বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কেন্দ্রের শাসক দল আসনটিকে দখল করতে সক্ষম হয়। তারপর থেকে কোচবিহারের সাংসদ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদে। তবে জেলায় ভোট প্রচারের মধ্যে দুই দলের প্রাধান্য রয়েছে সর্বত্র। একদিকে রাজ্যের শাসক দল। অপরদিকে কেন্দ্রীয় শাসকদল। এই দুই দল এক অপরকে ভোট প্রচারে বিন্দুমাত্র জায়গা ছাড়ছে না। এছাড়া অন্যান্য দলগুলিও নিজেদের সাধ্যমতো ভোট প্রচার করেছে। এখন দেখার বিষয় একটাই কোচবিহারের লোকসভা আসনে কোন প্রার্থী জয়ী হন।
Sarthak Pandit