মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার

East Medinipur News: নিজেদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার এক দম্পতির

কোলাঘাট: নিজেদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার এক দম্পতির! প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন থাকে। প্রিয়জনের জন্মদিন বা নিজের বিয়ের দিন মানুষের কাছে অত্যন্ত দামি। নানান কাজের মাধ্যমে বা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন্মদিন ও বিবাহ বার্ষিকী সেলিব্রেশন করে থাকে। তবে এক দম্পতি নিজেদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালনে একেবারে ভিন্ন পন্থা বেছে নিল। এই পন্থা বেছে নেওয়ায় তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। নিজেদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী স্মরণ রাখতে মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলেন দুজনেই।

প্রথম বিবাহ বার্ষিকীকে সামনে রেখে মরণোত্তর দেহদান করে মানব কল্যানে দৃষ্টি স্থাপন করলেন দেউলটির এক দম্পতি। বিবাহ বার্ষিকী দম্পতির জীবনে এক অন্য রকম অধ্যায়, আর এই বিবাহ বার্ষিকীকে সামনে রেখে কোলাঘাটের এক দম্পতি বিবাহ বার্ষিকীকে সামনে রেখে মরণোত্তর দেহদান করে মানব কল্যানে দৃষ্টি স্থাপন করলেন। ওই দম্পতি বিট্টু সামন্ত ও সুস্মিতা সামন্ত। ২০২৩ সালের মধ্য জুলাইয়ে তারা একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়েছিল। আর ২০২৪ সালে তাদের একসঙ্গে পথ চলার প্রথম বছর পূর্তি হল। তাই প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে আবারও এক অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলেন ওই দম্পতি।

জানা যায় ২৫ বছর বয়সী সুস্মিতা কুন্ডু সামন্ত বিভিন্ন সামাজিক কাজে বরাবরই প্রবল আগ্রহ। অতি ক্ষুদ্র ক্যানভাসে ছবি এঁকে ইতি মধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাত্র এক বছর জীবন সঙ্গী বিট্টু সামন্ত স্ত্রীর মতই সামাজিক কাজকর্মে আগ্রহী। তাই বিট্টু এবং সুস্মিতা দুজনেই চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে এবং আর্তদের সেবার উদ্দেশ্যে কোলাঘাট একটি ক্লাবের আয়োজনে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার করে মানব কল্যাণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। এদিনের এই মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার বদ্ধে শামিল হলেন তাঁদের ভাইবোন সুজাতা বেরা ও সুজন বেরা সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গেরা।

আরও পড়ুনঃ Rohit Sharma:এবার পুরোপুরি অবসরে রোহিত শর্মা? আর কত দিন খেলবেন? জানালেন হিটম্যান

এ বিষয়ে সুস্মিতা সামন্ত জানান, এই দিনটি আমাদের কাছে বিশেষ দিন। এই দিনটি আমরা বিশেষভাবে কাটানোর চিন্তা ভাবনা করেছিলাম। প্রথম থেকেই আমাদের চিন্তাভাবনা সমাজের জন্য কিছু করা। তাই এই দিনটিকে স্মরণ রাখতে আমরা মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলাম। এই দম্পতির এই চিন্তা ভাবনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষজনেরা।

সৈকত শী